পরপর কয়েকটা ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করার পর কদিন আগেই প্রশ্ন উঠেছিল, কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে তো ইস্টবেঙ্গল?‌ পরপর দুই ম্যাচে জয় ছবিটা বদলে দিয়েছে। রেলওয়ে এফসি–কে ৩–০ ব্যবধানে উড়িয়ে লিগ টেবিলে ‘‌এ’‌ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এল লাল–হলুদ ব্রিগেড। পাশাপাশি সুপার সিক্সেও খেলা নিশ্চিত করল। 

রেলওয়ে এফসি একেবারেই দুর্বল প্রতিপক্ষ। মাথার ওপর অবনমনের খাঁড়া ঝুলছে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যে পেরে উঠবে না, এটা জানাই ছিল। তার ওপর লাল–হলুদ কোচ বিনো জর্জ এদিন আক্রমণাত্মক স্ট্র‌্যাটেজি নিয়েছিলেন। শুরু থেকেই ফুটবলারদের ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২ মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। রেলের গোলকিপারকে একা পেয়েও তিনকাঠি ভেদ করতে পারেননি ভানলালপেকা গুইতে। 

মাঝে কিছুটা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। ছন্দ ফিরে পেতেই গোল। ২৫ মিনিটের মাথায় গুইতের পাস থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন আজাদ। রেলের গোলকিপার জয়ন্ত পালের হাতে লেগে বল বেরিয়ে আসে। সামনেই দাঁড়ানো সায়ন ব্যানার্জি ছোট্ট টোকায় বল জালে পাঠান। ৩ মিনিট পর সায়নের গোলেই ব্যবধান বাড়ে। বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন পিভি বিষ্ণু। দুরন্ত হেডে সায়নের ২–০। ৪৪ মিনিটে ৩–০ করতে হতে পারত। ডেভিডের শট কোনও রকমে বাঁচান রেল গোলকিপার। 

দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল আবার ছন্দহীন। বিষ্ণু, ডেভিডদের তুলে নেন বিনো জর্জ। আক্রমণভাগ বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তবুও বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা মহম্মদ আশিক, মনোতোষরা। কাজে লাগাতে পারেননি। ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ‌ছাড়েন চাকু মাণ্ডি। বাকি সময় ১০ জনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। তবু ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ৩–০। সায়ন ব্যানার্জির শট রেলের গোলকিপারের হাতে লেগে বেরিয়ে এলে বল জালে পাঠান ঠেলেন নসিব রহমান।