ভান্ডারে পাঁচ–পাঁচটি গ্র্যান্ডস্লাম। অথচ কার্লোস আলকারাজের ট্রফির ক্যাবিনেটে সিনসিনাটি ওপেনই ছিল না। অবশেষে সেটাও ঢুকে গেল। ইয়ানিক সিনারকে হারিয়ে সিনসিনাটি ওপেন জিতে নিলেন কার্লোস আলকারাজ। একই সঙ্গে ১০০০ এটিপি মাস্টার্স ট্রফি জেতার মাইলস্টোনেও পৌঁছে গেলেন। কার্লোস মোয়া, রাফায়েল নাদালের পর স্পেনের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। চলতি বছরে আলকারাজের এটা ষষ্ঠ শিরোপা, যার মধ্যে প্রথম উইম্বলডন ট্রফিও রয়েছে।
সিনসিনাটি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হতে অবশ্য বেশি ঘাম ঝড়াতে হয়নি কার্লোস আলকারাজাকে। অসুস্থতার কারণে ফাইনালের মাঝপথেই ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ান ইয়ানিক সিনার। যদিও শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন আলকারাজ। প্রথম সার্ভ থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেন। শুরুতেই সিনারের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যান এবং নিজের সার্ভিস ধরে রেখে ২–০ করেন। এবার সার্ভিস ভেঙে সিনারকে চাপে ফেলে দেন। প্রথম সেটে ৫–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর সিনার অসুস্থতার জন্য ম্যাচ ছেড়ে দেন।
সিনার যখন কোর্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, আলকারাজ ছুটে এসে সান্তনা দেন। সহানুভূতির সঙ্গে তিনি সিনারকে বলেন, ‘তোমাকে এভাবে ম্যাচ ছেড়ে দিতে হওয়ায় আমি খুবই দুঃখিত। বুঝতে পারছি এই মুহূর্তে তোমার মানসিক অবস্থা। তুমি সত্যিকার অর্থে একজন চ্যাম্পিয়ন। এই পরিস্থিতি থেকে তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নের মতোই।’
পাঁচবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন আলকারাজের কাছে এই সিনসিনাটি ওপেন জয় একটা স্মরণীয় মাইলফল। কার্লোস মোয়া (২০০২) এবং রাফায়েল নাদালের (২০১৩) পর স্পেনের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০ এটিপি মাস্টার্স ১০০০ ট্রফি জিতলেন। পাশাপাশি ২০০৮ সালে অ্যান্ডি মারের পর সর্বকনিষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন হলেন।
অন্যদিকে, মহিলাদের সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হলেন ইগা স্বিয়াতেক। ফাইনালে তিনি হারিয়েছেন জেসমিন পাওলিনিকে। ম্যাচের ফল ৭–৫, ৬–৪। কার্লোস আলকারাজের মতো স্বিয়াতেকেরও এটা প্রথম সিনসিনাটি ওপেন জয়। চলতি মরশুমে এই নিয়ে তৃতীয় ট্রফি জিতলেন স্বিয়াতেক। আর টেনিস জীবনের ২৪ তম শিরোপা। ফাইনালে অবশ্য দুর্দান্ত লড়াই হয়। স্নায়ুচাপ ধরে রেখে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন স্বিয়াতেক।