অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইউএস ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে খেলেছেন আরিনা সাবালেঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ২ বার, ইউএস ওপেনে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কিন্তু উইম্বলডনে ফাইনালে ওঠার স্বাদ কখনও পাননি। এবারও সেই ব্যর্থতা। বিশ্বের এক নম্বর তারকা অ্যারিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে আমান্ডা আনিসিমোভা। জীবনে এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উইঠলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই টেনিস তারকা। ফাইনালে তাঁর সামনে ইগা শিয়নতেক।
ফেবারিট হিসেবেই উইম্বলডনে কোর্টে নেমেছিলেন সাবালেঙ্কা। শুরুর দিকে একের পর এক তারকা বিদায় নেওয়ার পর বলেছিলেন আর কোনও অঘটন হবে না। কিন্তু সেমিফাইনালে সেই সাবালেঙ্কাকেই হারিয়ে অঘটন ঘটালেন ২৩ বছর বয়সী মার্কিন তরুণী। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১২ নম্বরে থাকা মান্ডা আনিসিমোভা প্রথম সেটে দারুণ দাপট দেখান। ৬–৪ ব্যবধানে জিতে এগিয়ে যান। পরের সেটে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন সাবালেঙ্কা। ৬–৪ ব্যবধানে জিতে সমতা ফেরান। তৃতীয় সেটে অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারেননি বিশ্বের একনম্বর এই টেনিস তারকা। ৬–৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে যান অআনিসিমোভা।
এর আগে ২০২১ ও ২০২৩ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন সাবালেঙ্কা। দুবারই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। এবারও সেই একই ছবি। অন্যদিকে, এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠেলেন আনিসিমোভা। রাশিয়ান বংশোদ্ভূত এই মার্কিন খেলোয়াড় এর আগে ২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। গ্র্যান্ড স্লামে সেটাই ছিল তাঁর সেরা পারফরমেন্স। সাবালেঙ্কাকে হারানোর পর বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না আনিসিমোভা। তিনি বলেন, ‘‘সত্যি বলতে, এখনো এটা বাস্তব মনে হচ্ছে না। সাবালেঙ্কা খুব কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। জানি না, ম্যাচটা কীভাবে বার করেছি। টেনিস থেকে মাঝে বিরতি নেওয়ার পর একবছর হল আবার ফিরে এসেছি। এই সাফল্য পাওয়াটা সহজ ছিল না।’
অন্য সেমিফাইনালে, ইগা শিয়নতেক ৬–২, ৬–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছেন বেলিন্দা বেনচিচকে। সুইজারল্যান্ডের বেনচিচ কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি শিয়নতেকের সামনে। এই প্রথম উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেন শিয়নতেক। অর্থাৎ এই বছর নতুন রানি পেতে চলেছে উইম্বলডন। শিয়নতেকের ঝুলিতে ৬টি গ্র্যান্ড স্লাম থাকলেও এই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমান্দা আমিসিমোভা।