টানা ২ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর পর আর্মি রেডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল সাদা–কালো ব্রিগেড। রবিবার হাকিম সেনজেন্দোর দল জিতল ৩–১ ব্যবধানে। মহমেডানের হয়ে গোল তিনটি করেন রবিনসন সিং, ইসরাফিল দেওয়ান ও লালথানকিমা। সাদার্ন সমিতির একমাত্র গোলটি অ্যালোসিয়াসের।
অন্যান্য ম্যাচের মতো এদিনও শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি মহমেডানের। ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে। প্রথম সুযোগ আসে ৯ মিনিটের মাথায়। কর্নার থেকে ভাল জায়গায় বল পেয়েছিলেন লালথানকিমা। তাঁর শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান সাদার্ন সমিতি গোলকিপার। সাদার্ন সমিতি মাঝে মাঠে প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল। ১৯ মিনিটে মহমেডানের অ্যাডিসন সিং ও জোসেফ আরও একটা ভাল আক্রমণ তৈরি করেছিল।
অবশেষে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যায় মহমেডান। জোসেফের পাস থেকে গোল করেন রবিনসন সিং। ৪৪ মিনিটে সমতা ফেরানোর দুর্দান্ত সুযোগ এসেছিল সাদার্ন সমিতির কাছে। লেফটব্যাক জোথানপুইয়া একক প্রয়াসে উঠে এসে গোল লক্ষ্য করে জোরালো শট নেন। মহমেডান গোলকিপার কর্নারের বিনিময়ে দুর্দান্তভাবে সেই বল বাঁচান। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। ইসরাফিল দেওয়ানের শট সাদার্ন গোলকিপার রামকৃষ্ণ দেবনাথ আংশিক প্রতিহত করেন। ফিরতি বলেও গোল করতে পারেননি লালথানকিমা।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে সাদার্ন সমিতি। ৫৪ মিনিটে তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। অ্যালেসিয়াসের হেড পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। ২ মিনিট পর আরও একটা সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর আক্রমণে ঝড় তোলে মহমেডান। একের পর এক আক্রমণ তুলে আসে। বেশ কয়েকটা সুযোগও তৈরি হয়। অ্যাডিসন সিং, রবিনসনরা ব্যবধান বাড়াতে পারছিলেন না।
খেলার গতির বিরুদ্ধে ৬৫ মিনিটে সমতা ফেরায় সাদার্ন সমিতি। গোল করেন অ্যালোসিয়াস। এরপরই সম্বিত থেকে মহমেডান ফুটবলারদের। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৬৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় মহমেডান। তন্ময় ঘোষের কর্নার আংশিক প্রতিহত করেন সাদার্ন গোলকিপার। ফিরতি বলে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন ইসরাফিল দেওয়ান। ৮৫ মিনিটে অ্যাসলের সেন্টার থেকে ৩–১ করেন লালথানকিমা। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপের শীর্ষে থাকল মহমেডান।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচের হটসিটে সৌরভ? পাল্লা ভারি রাহুল দ্রাবিড়ের