ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সনৎ জয়সূর্য বলেছিলেন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের না থাকার সুযোগ নিতে হবে। লঙ্কান ক্রিকেটাররা অবশ্য সুযোগ নিতে পারেননি। রোহিত, কোহলিবিহীন ভারতের কাছেও টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল। একদিনের ক্রিকেটে ভিন্ন ছবি। রোহিত–কোহলিসমৃদ্ধ ভারতকে ২–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে জিতল ১১০ রানে।
২৭ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৭ সালে অর্জুন রণতুঙ্গার নেতৃত্বে শেষবার ঘরের মাঠে সিরিজ জিতেছিল। তারপর এবার। নিজেদের দোষে প্রথম ম্যাচ ড্র না করলে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের মধুর প্রতিশোধ নিতে পারত শ্রীলঙ্কা। গোটা একদিনের সিরিজে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের একেবারেই মোকাবিলা করতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮৯। ৬৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন পাথুম নিসাঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৮২ রান তোলেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো ও কুশল মেন্ডিস। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন আভিষ্কা। ১০২ বলে ৯৬ রান করে তিনি আউট হন। এরপরই ধস নামে শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারে। পরপর ফিরে যান আসালঙ্কা (১০), সমরাবিক্রমা (০), জানিথ লিয়ানাগে (৮), দুনিথ ওয়েল্লালাগে (২)। কুশল মেন্ডিস (৮২ বলে ৫৯) ও কামিন্দু মেন্ডিসের (১৯ বলে অপরাজিত ২৩) সৌজন্যে ২৪৮/৭ রানে পৌঁছয় শ্রীলঙ্কা। রিয়ান পরাগ ৫৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানে শুভমান গিলের (৬) উইকেট হারায় ভারত। তাঁকে তুলে নেন আসিথা ফার্নান্ডো। এরপর ভারতীয় ইনিসে ধস নামান দুনিথ ওয়েল্লালাগে। তাঁর স্পিনের সামনে বেসামাল হয়ে পড়েন রোহিত (২০ বলে ৩৫), কোহলি (১৮ বলে ২০), শ্রেয়স আয়ার (৮), অক্ষর প্যাটেলরা (২)। ৮২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। শেষ পর্যন্ত ২৬.১ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ওয়াশিংটন সুন্দর করেন ৩০। ২৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন দিমুথ ওয়েল্লালাগে। ২টি করে উইকেট নেন মহেশ থিকসানা ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসে।
আরও পড়ুনঃ গোল উৎসর্গ, ধসে বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ের পাশে থাকার অঙ্গীকার জেসিন টিকে–র
আরও পড়ুনঃ চক্রান্তের শিকার ভিনেশ! বিশ্ব কুস্তি সংস্থার কাছে প্রতিবাদ, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ভারতীয় কুস্তিগীর