সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের ওপর রীতিমতো দাপট দেখিয়ে আসছে ভারত। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে গ্রুপ লিগের ম্যাচের মতো অসহায় আত্মসমর্পন করেনি পাকিস্তান। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের দাপটে ৬ উইকেটে সহজ জয় ভারতের।
আগের ম্যাচের তুলনায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশ গজের চরিত্র একটু অন্যরকম ছিল। রানে ভরা বাইশ গজ। এই উইকেটে বড় রান না তুললে জয় পাওয়া অসম্ভব। আর সেটাই ঘটল পাকিস্তানের। ১৭১ রান তুলেও জয় অধরা থেকে গেল। আসলে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। ওপেনিং জুটিতে ৯.৪ ওভারে ১০৫ রান তুলে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারন করে দেন দুই বন্ধু। পরে তিলক ভার্মা ও সঞ্জু স্যামসনদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনো সমস্যা হয়নি।
যদিও ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হয়নি ভারতকে এদিন সহজে জিততে দেবে পাকিস্তান। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা রদবদল করে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। ওপেনিংয়ে সাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে ফখর জামান। ফখরকে ওপেন করানোটা পাকিস্তানের ইতিবাচক পরিকল্পনা। শুরু থেকেই ঝন তুলেছিলেন দুই ওপেনার। ৫.৫ ওভারেই ৫০। এদিন পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজি ছিল ভারতের সেরা বোলার যশপ্রীত বুমরাকে আক্রমণ করে শুরুতেই ছন্দ নষ্ট করে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে সফল পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়ার স্লোয়ারে বোকা বনে ফখর জামান (৯ বলে ১৫) ফিরে গেলেও পাকিস্তানের রান তোলার গতি বেশ ভালই ছিল। ১০ ওভারে ৯১ রানে পৌঁছে যায়। ওই সময় মনে হচ্ছিল ২০০ রানে পৌঁছে যাবে পাকিস্তান।
শিবম দুবে এসে সাইম আয়ুব (১৭ বলে ২১) তুলে নেওয়ার পরই পাকিস্তানের ছন্দপতন। রান তোলার গতি কমে যায়। হুসেন তালাত (১১ বলে ১০) ও ফারফান (৪৫ বলে ৫৮) পরপর ফিরে যাওয়ায় আরও চাপে পড়ে যায়। শিবম দুবেকে বড় শট খেলতে গিয়এ আউট হন ফারহান। ওখান থেকেই ম্যাচের রাশ তুলে নেয় ভারত। মহম্মদ নওয়াজ (১৯ বলে ২১), সলমন আগা (১৩ বলে অপরাজিত ১৭), ফাহিম আশরাফদের (৮ বলে অপরাজিত ২০) সৌজন্যএ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। শিবম দুবে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন অভিষেক। শাহিন আফ্রিদিকে এদিন ছন্দে ফেরার সুযোগ দেননি ভারতের দুই ওপেনার। ৮.৪ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছে যায় ভারত। ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিষেক। দশম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড হন শুভমান (২৮ বলে ৪৭)। ততক্ষণে ভারতের জয়ের ভিত তৈরি হয়ে গেছে।
পরের ওভারেই সূর্যকুমার যাদবের (০) স্টাম্প ছিটকে দেন হ্যারিস রউফ। ২ ওভার পরে আউট হন অভিষেক। ৩৯ বলে ৭৪ রান করে তিনি আউট হন। ১৪৮ রানের মাথায় সঞ্জু স্যামসনের (১৭ বলে ১৩) উইকেট হারায় ভারত। এরপর দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিলক ভার্মা (১৯ বলে অপরাজিত ৩০) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৭ বলে ৭)। ৭ বল বাকি থাকতে ১৭৪/৪ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।