আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসকে সরিয়ে অনেক আশা নিয়ে এবছর হোসে মোলিনার হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কর্তারা। আর মরশুমের শুরুতেই কিনা এই হাইপ্রোফাইল কোচকে শুনতে হল ‘হায়, হায় ধ্বনি? কেনই বা শুনতে হবে না? ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও জয় আসেনি। আইএসএলের প্রথম ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি–র বিরুদ্ধেই সেই একই ছবি। এবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এর প্রথম ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল তাজিকিস্তানের রাভশন এফসি–র বিরুদ্ধেও জয় এল না। ম্যাচের ফল গোলশূন্য।
মরশুমের শুরু থেকেই ভোগাচ্ছে রক্ষণ। গত বছর সবুজমেরুন রক্ষণকে অনেকটাই নির্ভরতা দিয়েছিলেন আনোয়ার আলি। এবছর তাঁর অভাব প্রতিটা ম্যাচেই চোখে পড়েছে। তাই রাভশন এফসি–র বিরুদ্ধে পছন্দের ৩–৫–২ ছক থেকে সরে এসে ৪ ডিফেন্ডারের সামনে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার দীপক টাংরিকে রেখেছিলেন মোলিনা। ফলে আক্রমণভাগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস, মনবীর সিং ও পরিবর্ত হিসেবে মাঠা নামা গ্রেগ স্টুয়ার্টরা কাজে লাগাতে পারেননি।
অ্যাওয়ে ম্যাচে খুব বেশি ঝুঁকি না নিলেও প্রথমার্ধে দাপট ছিল রাভশনেরই। কয়েকটা সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু তিনকাঠি ভেদ করতে পারেনি। ২৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে রাভশনের সামনে। বক্সের বাইরে সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রিকিক পেয়েও বাইরে মারেন নাজারভ। পরের মিনিটেই আবার সুযোগ রাহিমভের শট আংশিক প্রতিহত করেন বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। সেই বল প্রায় গোলে ঢুকে যাচ্ছিল। আবার ঝাঁপিয়ে বাঁচান বিশাল। মোহনবাগানের বলার মতো সুযোগ ম্যাচের ৪৩ মিনিটে। পেত্রাতোসের ফ্রিকিকে হেড করেছিলেন শুভাশিস বোস। তাঁর দুর্বল হেড রাভশন গ্রিসটেঙ্কোর ধরতে কোনও অসুবিধা হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটা পরিবর্তন করেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা। ৬৪ মিনিটে লিস্টন কোলাসো, আপুইয়াদের মাঠে নিয়ে আসেন। তাতে আক্রমণের তেজ কিছুটা বাড়ে। কয়েকটা সুযোগও তৈরি হয়। ৭৬ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জেসন কামিংস। রাভশন রক্ষণের ভুলে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর ফ্লিক সরাসরি গোলকিপার গ্রিসটেঙ্কোর হাতে চলে যায়।
৮৭ মিনিটে দিনের সবথেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন কোলাসো। মনবীর সিংয়ের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা গ্রেগ স্টুয়ার্টের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে সুবিধাজনক জায়গা থেকেও বাইরে মারেন। কোলাসোর সামনে ছিলেন শুধু রাভশন গোলকিপার। পরের মিনিটেই পেত্রাতোস রাভশনের জালে বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ফলে ঘরের মাঠে জয় অধরাই থেকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের।
আরও পড়ুনঃ নাইট রাইডার্স পেল না, শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংসের কোচের হটসিটে রিকি পন্টিং
আরও পড়ুনঃ মারা গেলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপে সোনার বুট ও বল পাওয়া ইতালির সারা জাগানো স্ট্রাইকার সালভাতর শিলাচি