রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতে আসিয়ান কাপ জয় স্মরনীয় করে রাখল ইস্টবেঙ্গল
২০০৩ সালের ২৬ জুলাই সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়ে আসিয়ান কাপ ঘরে এসেছিল। শনিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কলকাতা ফুটবল লিগে মাঠে নেমেছিল লাল–হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গল সদস্য–সমর্থকরা চেয়েছিলেন দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকুক। সমর্থকদের ইচ্ছেপূরণ করলেন লাল–হলুদ ফুটবলাররা।
ডার্বি জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস।
স্পোর্টস টাইম ওয়েব ডেস্ক
শেষ আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২৫
Share on:
২২ বছর আগে এই দিনেই ইতিহাস তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৩ সালের ২৬ জুলাই সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়ে আসিয়ান কাপ ঘরে এসেছিল। শনিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কলকাতা ফুটবল লিগে মাঠে নেমেছিল লাল–হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গল সদস্য–সমর্থকরা চেয়েছিলেন দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকুক। সমর্থকদের ইচ্ছেপূরণ করলেন লাল–হলুদ ফুটবলাররা। টানটান উত্তেজনায় ভরা ডার্বিতে। পাঁচ–পাঁচটি গোল। পেন্ডুলামের মতো দুলল ম্যাচের ভাগ্য। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষপর্যন্ত মোহনবাগানকে ৩–২ ব্যবধানে হারিয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল।
মরশুমের ডার্বিতে কোনওভাবেই পয়েন্ট নষ্ট করতে চায়নি ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি সম্মানের ব্যাপারটাও ছিল। তাই কলকাতা লিগের এই ডার্বিতে প্রথম একাদশে সিনিয়র দলের ৭ ফুটবলারকে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। অন্যদিকে, মোহনবাগানও সিনিয়র দলের ৩ ফুটবলারকে নামিয়েছিলেন। শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ তুলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় লাল–হলুদ ব্রিগেড। এডমুন্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত সেন্টার করেন সায়ন ব্যানার্জি। সায়নের সেন্টার থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন জেসিন টিকে।
পিছিয়ে পড়েও বেদম হয়ে পড়েনি মোহনবাগান। দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে। ২৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। এডমুন্ডের শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। সুহেল ভাটের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তাঁর একটা শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪৫ মিনিটের মাথায় ডেভিডের শট দারুণভাবে বাঁচান মোহনবাগান গোলকিপার দীপ্রভাত। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে এডমুন্ডের বাড়ানো বল থেকে দুর্দান্ত গোল করে ২–০ করেন সায়ন ব্যানার্জি।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসে মোহনবাগান। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ব্যবদানও কমায়। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দুরন্ত গোল করে ব্যবধান কমান কাস্তানা। ব্যবধান কমিয়ে সমতা ফেরানোর জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে। অবশেষে সমতাও ফেরায়। ৬৭ মিনিটে কাস্তানার সেন্টার থেকে গোল করেন কিয়ান নাসিরি।
সমতা ফেরার পর সম্বিত ফেরে লাল–হলুদ শিবিরে। প্রতিআক্রমণ থেকে ৬৯ মিনিটে আমন সিকের সেন্টারে হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ডেভিড। ৮৩ মিনিটে বক্সের মাঝে সামনে শুধুমাত্র অসহায় বাগান গোলকিপার দ্বিপ্রভাতকে সামনে পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে না মারলে তখনই ম্যাচ শেষ। এদিন ডেভিড যা সুযোগ পেয়েছিলেন, অনায়াসে হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। বাকি সময় ইস্টবেঙ্গল ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে। সবুজ–মেরুনেরও সমতা ফেরানোর চেষ্টায় ত্রুটি ছিল না। ম্যাচের শেষদিকে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গলের আমন সিকে।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl