মারা গেলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইতালির প্রাক্তন স্ট্রাইকার সালভাতর শিলাচি। বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই মলাশয়ে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। শিলাচির পুরনো ক্লাব জুভন্টাসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
১৯৮২ সালে মেসিনার হয়ে পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু করেছিলেন শিলাচি। ৭ বছর এই ক্লাবে কাটিয়ে ১৯৮৯ সালে যোগ দেন জুভেন্টাসে। তিন মরশুম জুভেন্টাসে কাটিয়ে ১৯৯২ সালে যোগ দেন ইন্টার মিলানে। ১৯৯৪ সালে ইতালি ছেড়ে পাড়ি দেন জাপানে। জে ১ লিগের দল জুবিলো আইওয়াতার হয়ে খেলেন চার মরশুম। ১৯৯৭ সালে তিনি চিরতরে ফুটবলকে বিদায় জানান।
জুভেন্টাসে খেলার সময়ই ১৯৯০ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান শিলাচি। আন্তর্জাতিক ফুটবলজীবন দীর্ঘমেয়াদি হয়নি। দেশের হয়ে মাত্র ১৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। গোল করেন ৭টি। মজার ব্যাপার হল শিলাচির ৭টি আন্তর্জাতিক গোলের মধ্যে ৬টিই ১৯৯০ বিশ্বকাপে। আর বাকি গোলটা করেছিলেন ১৯৯১ সালে ইউরো কাপের বাছাই পর্বে নরওয়ের বিরুদ্ধে। ১৯৯০ বিশ্বকাপই প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছিল শিলাচিকে। ৩৪ বছর আগের সেই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ইতালি। ঘরের মাঠে সেই বিশ্বকাপে অপ্রত্যাশিতভাবে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জিতে তারকা বনে গিয়েছিলেন।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ হয়েছিল ইতালি। তৃতীয় স্থানে থেকে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছিল আয়োজক দেশ। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছিল ইতালি। ১৭ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শিলাচি। ৮৭ মিনিটে ক্যানিজিয়ার গোলে সমতা ফেরায় আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে ৪–৩ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে যায় আর্জেন্টিনা।
ইতালির ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, আগামী একসপ্তাহ ম্যাচ শুরুর আগে শিলাচিকে শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। ফেডারেশন সভাপতি গ্যাব্রিয়েল গ্রাভিনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শিলাচির গোল উদযাপন ইতালিয়ান ফুটবল ঐতিহ্যের চিরকালীন অংশ হয়ে থাকবে।’ শিলাচির মৃত্যুতে জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জুভেন্টাসে আমরা তাঁর খেলায় আন্দোলিত হয়েছিলাম। ১৯৯০ বিশ্বকাপে গোটা ইতালিকেও আন্দোলিত করেছিলেন। বিদায় তোতো, ধন্যবাদ।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুভেন্টাস সমর্থকরা শিলাচিকে ‘তোতো’ বলে ডাকতেন।