সিনিয়র দল তৈরি না থাকায় ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে জুনিয়র দলকেই নামিয়ে ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। কিন্তু ডার্বির কথা ভেবে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধে সেরা দলই নামিয়ে দিল টিম ম্যানেজমেন্ট। আর রিজার্ভ বেঞ্চে যথারীতি কোচ হোসে মোলিনা। বাগান টিম ম্যানেজমেন্টের শক্তিশালী টিম নামানোর পেছনে কারন ছিল। সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলের থেকে গোল পার্থক্য বাড়িয়ে রাখা জরুরি ছিল। লক্ষ্যে সফল মোহনবাগান। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে ৬-০ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। চাপ বেড়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ড্র করলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত মোহনবাগানের।
গত মরশুমে ডুরান্ড কাপে প্রথম ডার্বিতেই হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। যদিও ফাইনালে সেই ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান সুপার সুপার জায়ান্টস। এবছর ডুরান্ডের ডার্বিতে যাতে গত বছরের পুনরাবৃত্তি না হয়, এই ব্যাপারে সজাগ বাগান শিবির। তাই ১৮ আগস্ট ডার্বিতে নামার আগে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স ম্যাচকে ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে দেখেছিলেন মোহনবাগান কোচ মোলিনা। তাই এদিন পুরো শক্তি নামিয়ে দেন।। দুই বিদেশি জেসন কামিংস, টম অ্যালড্রেড ছাড়াও মনবীর সিং, আপুইয়া, বিশাল কাইথ, শুভাশিস বসুদের এদিন মাঠে নামান মোলিনা। পরের দিকে মাঠে নামেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, অনিরুদ্ধ থাপাদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল মোহনবাগান। ৩ মিনিটেই গোল করার প্রথম সুযোগ এসেছিল। কাজে লাগাতে পারেননি জেসন কামিংস। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সাহাল আব্দুল সামাদের পাশ থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। ১০ মিনিটেই ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর সেন্টারে হেড করেন আপুইয়া। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের গোলকিপার আংশিক প্রতিহত করলে ফিরতি বল চলে আসে টম অ্যালড্রেডের কাছে। ব্যবধান বাড়াতে কোনও সমস্যা হয়নি অ্যালড্রেডের। ৩৮ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদের পাশ থেকে ৩-০ করেন লিস্টন কোলাসো।
দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগানের দাপট অব্যাহত ছিল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন জেসন কামিংস, মনবীর সিংরা। জয় নিশ্চিত ধরে নিয়ে কয়েকটা পরিবর্তন করেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা। চেয়েছিলেন ডার্বির আগে সব ফুটবলারকে একবার দেখে নিতে। কোচকে হতাশ করেননি অনিরুদ্ধ থাপা, গ্রেগ স্টুয়ার্টরা। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে ৪-০ করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা অনিরুদ্ধ থাপা।
৭৬ মিনিটে সাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে মনবীর বাড়ান জেসন কামিংসকে। বাঁপায়ের জোরালো শটে ৫-০ করেন কামিংস। এই গোলের পরই মনবীরকে তুলে নিয়ে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে মাঠে নামান মোলিনা। সবুজমেরুন জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল পেলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। জেসন কামিংসে সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে ৬-০ করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট।
আরও পড়ুনঃ পদকের দাবিতে ক্রীড়া আদালতে মামলা, কুস্তিকে চিরতরে বিদায় জানালেন ভিনেশ ফোগাট