গত ৫ বছরে অনেকটাই বদলে গেছে থাইল্যান্ডের ফুটবল। বিশ্ব ক্রমতালিকায় ওপরে উঠে এসেছে। অথচ ভারত যে তিমিরে পড়ে ছিল, সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে। ২০১৯ সালে দু’দুবারের সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। আর সেই ভারতকেই বুধবার হারতে হল ২–০ ব্যবধানে। মানোলো মার্কুয়েজের কোচিংয়ে কোনও উন্নতির লক্ষণ নেই। জঘন্য ফুটবল উপহার দিলেন সুনীল ছেত্রীরা।
১০ জুন হংকংয়ের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে খেলতে নামবে ভারত। তার অগে বুধবার থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমেছিল। বিশ্ব ক্রমতালিকায় ৯৯ নম্বরে থাকা থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত যে পেরে উঠবে না, জানাই ছিল। প্রত্যাশামতোই পরাজয়। কলকাতায় প্রায় দু’সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবির, ম্যাচের ৪ দিন আগে থাইল্যান্ডে এসে শিবির, কোনও কিছুই কাজে লাগল না। ম্যাচের অধিকাংশ সময় জঘন্য ফুটবল উপহার দিয়ে হার।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল থাইল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। এর মাঝেই ম্যাচের ৮ মিনিটে কোরাউইচ তারার পাস থেকে দুরন্ত শটে গোল করে থাইল্যান্ডকে এগিয়ে দেন বেঞ্জামিন ডেভিস। শুরুতে গোল হজম করে ভারত অবশ্য হতদ্যোম হয়ে পড়েনি। আস্তে আস্তে খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে। কয়েকটা সুযোগও তৈরি হয়ে। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। লিস্টন কোলাসো, সুনীল ছেত্রী কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও থাইল্যান্ডের দাপট অব্যাহত ছিল। ভারতীয় রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণভাগের মধ্যে কোনও যোগসূত্র ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল থাইল্যান্ড। ৫৯ মিনিটে পোরামেট থাইল্যান্ডের হয়ে হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন। পরের দিকে বিক্ষিপ্ত লগ্নে বিপক্ষ রক্ষণে হানা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন লিস্টন, পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। দুজনই সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। শেষ দিকে নিখিল প্রভু, সুহেল বাটকে নামিয়েছিলেন ভারতীয় দলের কোচ মানোলো। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচে তাঁরাও কিছু করতে পারেননি।