রিয়েল এস্টেট দালালের হাতে ইউরো কাপ সেমিফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব! যিনি আবার নাকি একসময় ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িয়ে পড়িয়েছিলেন। এমন একজন রেফারির হাতে ইউরো কাপে ইংল্যান্ড–হল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে উয়েফা।
উয়েফা ও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে ইংল্যান্ড ও হল্যান্ড ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে থাকবেন জার্মানির ফেলিক্স জায়ের। উয়েফার এলিট প্যানেলের এই রেফারির বিরুদ্ধে অতীতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছিলেন ফেলিক্স।
জার্মান ফুটবলে দ্বিতীয় বিভাগে ২০০৪ সালে মে মাসে ভেরডার ব্রেমেন অ্যামেচার ও ভুপারটালার এসভি ম্যাচে সহকারী রেফারির দায়িত্ব ছিল ফেলিক্স জায়ের। রবার্ট হয়সার নামে একজনের ওপর ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব ছিল। ভুপারটালারের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য রবার্ট হয়সারের কাছ থেকে ৩০০ ইউরো ঘুষ নিয়েছিলেন ফেলিক্স। ২০০৫ সালের শুরুতে ফেলিক্সের ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ফেলিক্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ২০০৫ সালেই হয়সারকে আজীবন নির্বাসিক করে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন। ফেলিক্সকে ৬ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়।
এই ঘুষ নেওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন তদন্ত চলে। ২০১৪ সালে মামলার রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে বলা হয়েছিল, হয়সারের কাছ থেকে ফেলিক্স যে ৩০০ ইউরো ঘুষ নিয়েছিলেন, তা প্রাথমিক তদন্তের সময় জার্মান ফুটবল ফেডারেশনকে জানানো হয়নি। ফেলিক্স যে সরাসরি ম্যাচ গড়াপেটা করেছিলেন, তার পক্ষে কোনও সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে আদালতকে ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। ওই মরশুমে হয়সার বেশ কয়েকটা ম্যাচে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য ঘুষ নিয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ফেলিক্স জায়ের একজন রিয়েল এস্টেটের দালাল। ২০০৪ সালে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বিভিন্ন লিগে রেফারিং শুরু করেন। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ৬ মাস নির্বাসিত থাকার পর আবার রেফারিংয়ের মূলস্রোতে ফিরে আসেন ফেলিক্স। ধীরে ধীরে উয়েফার এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন। চলতি ইউরো কাপে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ফেলিক্স। প্রি–কোয়ার্টার ফাইনালে হল্যান্ড–রোমানিয়া ম্যাচেও রেফারির ভূমিকায় ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ টানা ৬টি কোপায় গোল করে নজির মেসির, কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা