গত মরশুমে আক্রমণভাগ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। ক্লেইটন সিলভা ছাড়া সেভাবে কেউ ভরসা দিতে পারেননি। আক্রমণভাগ শক্তিশালী করতে এবার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে সই করিয়েছেন কর্তারা। লাল–হলুদ জার্সি গায়ে প্রথম মাচেই জ্বলে উঠলেন। গোল করলেন, সল ক্রেসপোকে দিয়ে গোল করালেন। ডুরান্ড কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। লাল–হলুদ ব্রিগেডের জয় ৩–১ ব্যবধানে। ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। ডেভিডের হেড বারে লেগে ফিরে আসে। মিনিট তিনেক পর সামনে শুরু ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের গোলকিপারকে পেয়েও তাঁর হাতে বল মারেন। জোনাথানপুইয়া, মাদিহ তালাল, মহেশ সিং, সল ক্রেসপোরা দারুণ আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। একের পর এক সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু গোল আসছিল না।
ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় এয়ারফোর্স। ১৯ মিনিটে ডানদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন সৌরব সাধুখাঁ। সোমানন্দ সিং হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ৩২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল জোথানপুইয়ার সামনে। বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। ৩৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেন রেফারি। মাদিহ তালালের গোলমুখী হেড বক্সের মধ্যে হাতে লাগান এয়ারফোর্সের এক ডিফেন্ডার। রেফারি এড়িয়ে যান। ৪০ মিনিটে আবার সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। লালচুংনুঙ্গার বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন।
অবশেষে ৪৩ মিনিটে তালাল–ডেভিডের যুগলবন্দীতে সমতা ফেরে। মাঝমাঠ থেকে দুরন্ত থ্রো বাড়িয়েছিলেন তালাল। সেই থ্রু ধরে এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান ডেভিড। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। জোনাথানপুইয়ার মাইনাস বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও গোলে রাখতে পারেননি নওরেম মহেশ সিং। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল থাকে ১–০।
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ বজায় ছিল ইস্টবেঙ্গলের। গোলের জন্য দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে নামান কার্লেস কুয়াদ্রাত। ৫৪ মিনিটে মাদিহ তালালের হেড গোললাইনে দাঁড়িয়ে কোনও রকমে বাঁচান এয়ারফোর্স গোলকিপার। ৬১ মিনিটে আর ইস্টবেঙ্গলে আটকে রাখতে পারেনি এয়ারফোর্স। এই গোলের কারিগড়ও সেই মাদিহ তালাল। মাঝমাঠ থেকে বাঁদিকে বল বাড়িয়েছিলেন জোথানপুইয়াকে। তাঁর সেন্টার থেকে লাল–হলুদ জার্সি গায়ে জীবনের প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস।
৬৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। এয়ারফোর্সের পেনাল্টি বক্সের মাথায় বল পেয়ে আড়াআড়ি পাস বাড়ান সল ক্রেসপোকে। বল ধরে হাফটার্নে ঘুরে গিয়ে শট নেন ক্রেসপো। বল পোস্টের কোণায় লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৩–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল দিয়ামানতাকোসের সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি।