সন্তোষ ট্রফিতে সবচেয়ে সফল দল বাংলা। অথচ ২০১৬–১৭ মরশুমের পর থেকে ট্রফির খরা। শেষবার গোয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর থেকে শুধুই খরা। দীর্ঘ ৮ বছরের খরা কাটিয়ে অবশেষে আবার সন্তোষ ট্রফি ঘরে তুলল বাংলা। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে করা রবি হাঁসদার গোলে কেরলকে হারিয়েছে। ২০২১–২২ মরশুমে কেরলের কাছেই শেষবার ফাইনালে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। ৩ বছর পর সেই কেরলকে হারিয়েই মধুর প্রতিশোধ। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলা।
ফাইনালে লড়াইটা অবশ্য সহজ ছিল না বাংলার কাছে। বাংলার মতো কেরলও এবছর সন্তোষ ট্রফিতে প্রথম থেকেই অপ্রতিরোধ্য ছিল। গ্রুপ পর্বে বাংলা মাত্র একটা ম্যাচে ড্র করেছিল। বাকি সব ম্যাচে জয়। ফাইনালে এসেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন রবি হাঁসদারা। যদিও কেরল যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে নজরকাড়া নাসিব রহমান, আদিল আমল, মহম্মদ মোশারফ, জোসেপ জাস্টিন, মহম্মদ রোশলের মতো ফুটবলাররা কেরল দলে ছিলেন। তাসত্ত্বেও জয় বাংলার।
ফাইনালে কেরলের বিরুদ্ধে অবশ্য দাপট নিয়ে খেলতে পারেনি বাংলা। কেরলের শক্তির কথা মাথায় রেখে সতর্কভাবেই শুরু করেছিলেন সঞ্জয় সেন। বরং ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল কেরলের। নাসিব রহমান, আদিল অমলরা বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন বাংলার রক্ষণে। যদিও প্রথমার্ধে সেভাবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কেরল। নাসিব রহমানের একটা প্রয়াস বারে লেগে প্রতিহত হয়। রবি হাঁসদা, মনোতোষ মাঝি, নরহরি শ্রেষ্টাদের এদিন সেভাবে বিপজ্জনক হতে দেয়নি কেরল রক্ষণ। ম্যাচের প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধেও কেরলের দাপট ছিল। তবে বাংলার গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না আদিল অমল, নাসিব রহমানরা। বাংলাও প্রতিআক্রমণে উঠে এসে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারছিল না। অবশেষে ম্যাচের ইনজুরি জ্বলে ওঠেন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা রবি হাঁসদা। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা সেন্টার হেডে নামিয়ে দেন মনোতোষ। জোসেফ জাস্টিন ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। বল জালে পাঠান রবি হাঁসদা। তাঁর গোলেই ৮ বছর পর সন্তোষ ট্রফি ঘরে তুলল বাংলা। এই নিয়ে ৩৩ বার।
আরও পড়ুনঃ দুরন্ত বোলিং সায়ন ঘোষের, বিজয় হাজারেতে কেরলকে ২৭ রানে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে বাংলা