২৯ জুলাই সৌরভ গাঙ্গুলিকে মোহনবাগান রত্ন তুলে দিয়েছে সবুজ–মেরুন ক্লাব। ৩ দিন পর আরও একটা সম্মান মহারাজের। এবার ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ‘ভারত গৌরব’ সম্মান দেওয়া হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলিকে। আর মহম্মদ সামিকে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার গর্ব’। সৌরভকে ‘ভারত গৌরব’ সম্মান দেওয়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। মহম্মদ সামি কেন ‘বাংলার গৌরব’? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
১ আগস্ট ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সৌরভের হাতে ‘ভারত গৌরব’ ও মহম্মদ সামির হাতে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হল দুই প্রাক্তন ফুটবলার রঞ্জিত মুখার্জি ও প্রশান্ত ব্যানার্জিকে। সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সাত্যকি দত্তকে। পুরস্কৃত করা হয় দুই ফুটবলার নন্দকুমার ও প্রভসুখন গিলকে। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেও সম্মান জানানো হয়। সম্মানিত করা হল দুই প্রাক্তন রেফারি সুকৃতি কুমার দত্ত এবং জয়ন্ত ব্যানার্জি। দুই সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই এবং সরোজ চক্রবর্তীকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দুই সমর্থক মুকুল গাঙ্গুলি এবং গণেশ দাসকেও সম্মানিত করা হয়।
পুরস্কার হাতে নিয়ে সৌরভ বলেন, ‘৩ বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল আমাকে এই সম্মান দিতে চাইছিল। দেশের বাইরে থাকায় কোনও বারই নিতে পারিনি। এবছর সেই সুযোগ হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত।’ মহম্মদ সামি বলেন, ‘বাংলার মতো সম্মান আমি কোথাও পাইনি। এই বাংলা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমি নিজেকে বাঙালী মনে করি। বাংলার এই সম্মানের কখা আমি সারাজীবন মনে রাখব। এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত।’
মহম্মদ সামিকে ‘বাংলার গৌরব’ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলার ক্রিকেটে এমন কী অবদান রেখেছেন সামি? তাঁকে কেন বাংলার গৌরব দেওয়া হল। গত ৫ বছরে বাংলার হয়ে ৫টা ম্যাচও খেলেননি। কোনও ট্রফি জেতানো তো দুরের কথা। বরং বাংলাকে ব্যবহার করে জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছেন। বাংলার কোনও ক্রিকেটারকে সাহায্য করেছেন বলে শোনা যায়নি। তাঁকে বাংলার গৌরব সম্মান দেওয়াটা সত্যিই হাস্যকর। আবার এদিন অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলার হয়ে ২–৩টি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবেন।
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুজিত বসু, কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও ছিলেন সমরেশ চৌধুরি, শ্যাম থাপা, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, মেহতাব হোসেনের মতো ফুটবলাররা। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, আইএফএ–র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বাণ দত্ত, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি প্রমুখ। সিনিয়র দলের সব ফুটবলারকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ প্রণয়কে হারিয়ে পদকের পথে লক্ষ্য সেন, স্বপ্ন শেষ সাত্ত্বিকসাইরাজ–চিরাগ জুটির
আরও পড়ুনঃ একজনের বিরুদ্ধে দু’জন! ৭ মাসের সন্তানকে পেটে নিয়ে অলিম্পিকে অবিশ্বাস্য লড়াই নাদা হাফিজের