৯ ও ৭ নম্বরের লড়াই। প্লে–অফের জন্য দুই দলের কাছেই ম্যাচটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টেক্কা দিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হায়দরাবাদকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্লে–অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখলেও লিগ টেবিলে অবস্থান বদল হল না মুম্বইয়ের। ৬ পয়েন্টে রইল ৭ নম্বরেই। আর ৪ পয়েন্টে সেই ৯ নম্বরেই হায়দরাবাদ।
টস জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। ইনিংসের প্রথম বলেই বেঁচে যান অভিষেক শর্মা। দীপক চাহারের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে সপাটে ব্যাট চালিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে চলে যায়। উইল জ্যাকস তালুবন্দী করতে পারেননি। একি ওভারে জীবন পান ট্রাভিস হেডও। এরপরই গুটিয়ে যান হায়দরাবাদের দুই ওপেনার।
শুরুর দিকে অভিষেক ও হেডকে বড় শট খেলার সুযোগ দেননি দীপক চাহার, ট্রেন্ট বোল্ট, যশপ্রীত বুমরারা। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৪৭। এরপর মুম্বইকে ব্রেক থ্রু এনে দেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। অস্টম ওভারে তুলে নেন অভিষেক শর্মাকে (২৮ বলে ৪০)। পরের ওভারেই ঈশান কিষাণকে (৩ বলে ২) স্টাম্পড করেন উইল জ্যাকস। দশম ওভারে হার্দিকের বলে জ্যাকসের হাতে ক্যাচ দিয়েও নো বলের জন্য বেঁচে যান ট্রাভিস হেড। তবে তাঁর ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২৯ বলে ২৮ রান করে জ্যাকসের বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন হেড।
এরপর হায়দরাবাদকে এগিয়ে নিয়ে যান নীতীশ রেড্ডি ও হেনরিখ ক্লাসেন। যদিও হায়দরাবাদের এই দুই ব্যাটারকে বড় শট নিতে দেননি বুমরা, বোল্টরা। নীতীশ রেড্ডিকে (২১ বলে ১৯) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন বোল্ট। শেষদিকে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন। ইনিংসের প্রথম ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। ১৮তম ওভারে দীপক চাহারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ক্লাসেন। ওই ওভারে আরও একটা ছক্কা ও দুটি চারসহ ২১ রান তোলেন। পরের ওভারেই বুমরার বলে বোল্ড ক্লাসেন (২৮ বলে ৩৭)। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে হায়দরাবাদ। অনিকেত ভার্মার ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইল জ্যাকস ১৪ রানে ২টি ও যশপ্রীত বুমরা ২১ রানে ১টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন রোহিত। মনে হচ্ছিল চাপ কাটিয়ে এদিন বড় রানে ফিরবেন। কিন্তু ৩ ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২৬ রান করার পর কামিন্সের বলে কভারে হেডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এরপর মুম্বইকে এগিয়ে নিয়ে যান রিকেলটন (২৩ বলে ৩১) ও জ্যাকস (২৬ বলে ৩৬), সূর্যকুমার (১৫ বলে ২৬)। এই তিন ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পর মুম্বইকে জয় এনে দেন তিলক ভার্মা (১৭ বলে অপরাজিত ২১) ও হার্দিক পাণ্ডিয়া ( ৯ বলে ২১)। হায়দরাবাদ অধিনায়ক কামিন্স (৩/২৬) ছাড়া বল হাতে আর কেউই দাগ কাটতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ আবার বড় রান করতে ব্যর্থ রোহিত, হায়দরাবাদের আগ্রাসন থামিয়ে ৪ উইকেটে জয় মুম্বইয়ের