ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দেশের হয়ে খেলা হচ্ছে না মহম্মদ সামির। তবে অক্টোবরে বাংলার হয়ে রনজিতে মাঠে নামবেন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতীয় দলের এই জোরে বোলার। সামিকে ঘিরেই অস্ট্রেলিয়া সফরের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার আগে ঘরে মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা টেস্ট খেলিয়েও দেখে নেওয়া হবে সামিকে।
চোটের জন্য গত বছর একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ থেকেই দলের বাইরে সামি। ফেব্রুয়ারিতে তাঁর গোড়েলিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তাঁর রিহ্যাব চলছে। এখনও পুরোপুরি ফিট নন। মাঝো শোনা গিয়েছিল দলীপ ট্রফিতে তিনি মাঠে নামতে পারেন। যদি পুরোদমে বোলিং করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটত। কিন্তু জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিওরা সামিকে ফিট সার্টিফিকেট দেননি। ফলে তাঁর মাঠে ফেরা আরও বিলম্ব হল।
বাংলাদেশ সিরিজের পরই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে ভারত। ১৬ অক্টোবর থেকে বেঙ্গালুরুতে সিরিজ শুরু। প্রথম টেস্টে সামির সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কারণ, বোর্ডের নিয়ম, চোট পাওয়া যে কোনও ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ফিরতে গেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে। সামির ক্ষেত্রেও নিয়মের ব্যতিক্রম হবে না। এবছর বাংলা রনজি অভিযানে নামছে ১১ অক্টোবর। কানপুরে প্রতিপক্ষ উত্তরপ্রদেশ। তার মধ্যে ফিট হয়ে গেলে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রনজির প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে। বোর্ড যদি মনে করে, ম্যাচ ফিটনেসের জন্য সামির আরও একটা ম্যাচ খেলা দরকার, তাহলে ঘরের মাঠে ১৮ অক্টোবর থেকে বিহারের বিরুদ্ধেও মাঠে নামবেন।
বাংলার হয়ে প্রথম দুটি রনজি ম্যাচে খেললে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টে সামিকে পাওয়া যাবে না। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্তত একটা টেস্টে সামিকে খেলাতে চায় বোর্ড। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর থেকে মুম্বইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটবে সামির। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত। বর্ডার–গাভাসকার ট্রফিতে ৫টি টেস্ট খেলবে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে মহম্মদ সামিকে চায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুনঃ তিন প্রধানের সম্মিলিত প্রতিবাদ, লাঠিচার্জ করেও ব্যাকফুটে পুলিশ, দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল বাঙালির আবেগ