রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ভিড়ে টি২০ ক্রিকেটে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু তাঁরা যে রোহিত–কোহলিদের জায়গা নেওয়ার জন্য তৈরি, ক্রমশ প্রমাণ করে দিচ্ছেন শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালরা। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকলেও কোনও ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি যশস্বীর। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে সুযোগ পেয়েই ব্যাটে রান। তাঁর ও শুভমানের দাপটে চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল ভারত। ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন যশস্বী।
টস জিতে এদিন জিম্বাবোয়েকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শুভমান গিল। জিম্বাবোয়ের দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে এবং তাদিওয়ানাশে মারুমানি যেভাবে শুরু করেছিলেন, মনে হচ্ছিল বড় রান করবে জিম্বাবোয়ে। নবম ওভারে অভিষেক শর্মার হাত ধরে প্রথম সাফল্য পায় ভারত। মারুমানিকে (৩১ বলে ৩২) তুলে নেন অভিষেক। পরের ওভারে মাধেভেরেকে (২৪ বলে ২৫) ফেরান শিবম দুবে। ব্রায়ান বেনেট (৯) ও জোনাথান ক্যাম্পবেল (৩) দ্রুত ফেরায় বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় জিম্বাবোয়ের। সিকান্দার রাজার (২৮ বলে ৪৬) লড়াই জিম্বাবোয়েকে দেড়শ রানের দিকে এগিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫২ রান তোলে জিম্বাবোয়ে। ভারতের খলিল আমেদ ৩২ বলে ২টি উইকেট নেন। তুষার দেশপাণ্ডে, ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিষেক শর্মা, শিবম দুবে ১টি করে উইকেট পান।
ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে বোলারদের কোনও রকম সুযোগ দেননি যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমান গিল। আগের ম্যাচেও দারুণ শুরু করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন শুভমান। এদিন শুভমানের তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন যশস্বী। ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৯.৪ ওভারেই ১০০ রানে পৌঁছে যায় ভারত।
প্রথম দিকে সতর্ক থাকলেও পরে দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন শুভমান। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান, পরপর দুটি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। তবে অধিনায়ককে ছাপিয়ে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৫৩ বলে ৯৩ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারেন ১৩টি ৪ ও ২টি ৬। ৩৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভমান গিল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি ৪ ও ২টি ৬। ১৫.২ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
আরও পড়ুনঃ টি২০ বিশ্বকাপে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগ করলেন আইসিসি–র দুই শীর্ষ কর্তা
আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগে ডার্বির শতবর্ষে জ্বলে উঠল লালহলুদ মশাল, দুর্দান্ত খেলে জয় ইস্টবেঙ্গলের