আইএসএলের ইতিহাসে আগে কখনও টানা ৩ ম্যাচে জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। অস্কার ব্রুজোর সামনে সুযোগ ছিল ইতিহাস বদলে দেওয়ার। সুযোগ দারুণভাবেই কাজে লাগাল লাল–হলুদ ব্রিগেড। হায়দরাবাদ এফসি–কে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলের ইতিহাসে এই প্রথম টানা ৩ ম্যাচে জয় পেল লাল–হলুদ ব্রিগেড। পাশাপাশি বেঁচে রইল প্লে–অফের ক্ষীণ আশাও।
পরপর দুটি ম্যাচ জিতে এদিন বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে হায়দরাবাদ এফসি–র বিরুদ্ধে শুরু করেছিল লাল–হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই দিয়ামানতাকোস, মেসি বাওলিদের তার সেই আত্মবিশ্বাসের ছাপ। বাঁদিক থেকে দারুণ ওভারল্যাপে উঠে এসে হায়দরাবাদ রক্ষণকে বিব্রত করছিলেন নিশু কুমার। মেসি বাওলি, দিয়ামানতাকোস, মহেশ সিংদের আটকাতেও হিমসিম খাচ্ছিল হায়দরাবাদ রক্ষণ। ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি দিয়ামানতাকোস। বাঁদিক থেকে ওভারল্যাপে উঠে এসে দুর্দান্ত সেন্টার করেছিলেন নিশু কুমার। ৬ গজ বক্সে থেকে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি দিয়ামানতাকোস।
২০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলে নিশ্চিত গোল খাওয়ার হাত থেকে বাঁচান প্রভসুখন গিল। কোরেয়ার শট দারুণভাবে প্রতিহত করেন। পরক্ষণেই পাউলিস্তার শট আটকান। ২৫ মিনিটে আবার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। মেসি বাওলির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধে আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলা জমে উঠলেও কোনও দলই গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও তেড়েফুঁড়ে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ৫১ মিনিটে মহেশ সিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁপায়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন দিয়ামানতাকোস। গোলে ঢোকার মুখে আটকে দেন হায়দরাবাদ গোলকিপার। পরের মিনিটে আবার সুযোগ এসেছিল দিয়ামানতাকোসের সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। বক্সের ডানদিক থেকে বাঁপায়ে গড়ানো শট নিয়েছিলেন মেসি বাওলি। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। হায়দরাবাদের কোরেয়ার একটা শটও পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
গোলের নেশায় আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু তিনকাঠি খুঁজে পাচ্ছিলেন না মেসি বাওলি, সল ক্রেসপোরা। অবশেষে ৮৬ মিনিটে মনোজ মহম্মদের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। রিচার্ড সেলেসের কর্নার মনোজ মহম্মদের মাথায় লেগে গোলে ঢুকে যায়। ইনজুরি সময়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান মেসি বাওলি। ৯৩ মিনিটের মাথায় নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা বল বাড়ান সল ক্রেসপো। সেই বল ধরে গতিতে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে বাঁপায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে লাল–হলুদ জার্সি গায়ে প্রথম গোল করেন মেসি। একই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। ২২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে অস্টম স্থানে রইল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুনঃ ‘বাঁদরেও এত কলা খায় না, আমরা খেলে ইমরান ভাই পিঠিয়েই মেরে ফেলতেন’, বাবর আজমদের তীব্র কটাক্ষ ওয়াসিম আক্রামের
আরও পড়ুনঃ ডাকেটের চোখের সামনে গুড়িয়ে গেল তাঁর রেকর্ড, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান