২০২৩ সালে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে খেতাব জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল ভারতের। ৪৬৯ দিন পর আবার আরও একটা আইসিসি–র প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি দুই দল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল। ভারত কি পারবে ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতিশোধ নিতে? না আবার সেই অস্ট্রেলিয়ার দাপট? অসিদের বধ করতে স্পিন শক্তির ওপরই ভরসা করছেন রোহিত শর্মা।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত যে এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানে খেলে দুবাই গেছে অসিরা। অন্যদিকে, ভারত দুবাইয়েই তিনটি ম্যাচ খেলছে। পরিবেশ সম্পর্কে স্টিভ স্মিথদের তুলনায় রোহিতদের ধারণা অনেক বেশি। পরিবেশের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে ভারতীয় দল। এছাড়া, দুবাইয়ের বাইশ গজে স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য পাচ্ছেন। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচেই দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। ভারতীয় দলে যেমন সেরা স্পিনাররা রয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া দলে অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া স্বীকৃত স্পিনার নেই।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ৪ স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। সেমিফাইনালেও কি একই স্ট্র্যাটেজি? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে পরিকল্পনার কথা গোপন রাখলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘৪ স্পিনার নিয়ে মাঠে নামার ব্যাপারটা দারুণ লোভনীয়। তবে ৪ স্পিনার নিয়ে মাঠে নামলে তাদের কীভাবে ব্যবহার করব, সেটাও ভাবতে হবে। দুবাইয়ের পরিবেশ সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেরা একাদশই নামানো হবে।’
আগের ম্যাচে হর্ষিত রানার জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই ৪২ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। সেমিফাইনালে তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখার সাহস দেখাতে পারবে না ভারত। হর্ষিত রানাকে যদি ফেরানো হয়, তাহলে কোপ পড়তে পারে কুলদীপ যাদবের ওপর। বরুণ প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘বরুণ দেখিয়েছে ও কী করতে পারে। ওর ওপর যা প্রত্যাশা ছিল, পূরণ করেছে। ২০২১ সালে যখন দলে এসেছিল তখন বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন আরও বেশি নিশানায় অভ্রান্ত। তবে আমাদের দেখতে হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে কারা বেশি কার্যকরী হতে পারে। সেটা বিবেচনা করেই প্রথম একাদশ চূড়ান্ত করা হবে।’
আগের ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ। চাপের মুখে মিডল অর্ডার পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। শ্রেয়স আয়াল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা ছন্দে রয়েছেন। সেমিফাইনালের আগে স্বস্তি দিচ্ছে রোহিতকে। অক্ষর প্যাটেলের ওপরও বাড়তি ভরসা। ভারতীয় দলের কাছে চাপ, প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে রান পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। ম্যাথু শর্ট, জশ ইংলিসরাও ফর্মে রয়েছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো হয়তো একপেশে ম্যাচ হবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল কিন্তু দারুণ জমে যাবে।
আরও পড়ুনঃ অজিঙ্কা রাহানের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, সহ–অধিনায়ক বেঙ্কটেশ আয়ার
আরও পড়ুনঃ শুধু আধার কার্ড থাকলেই হবে না, ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের ব্যাপারে আরও কঠোর সিএবি