ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের দাপটে বাংলা থেকে ক্রিকেটার উঠে আসছে না। কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবের কর্তারা বাইরের ক্রিকেটার নিয়ে এসে জাল নথি তৈরি করে দিনের পর দিন খেলিয়ে আসছে। এটা দীর্ঘদিনের অভিযোগ। বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সামনে উপায় ছিল না আটকানোর। বাইরের ক্রিকেটারদের আটকাতে এবার আরও কড়া হল সিএবি। শুধু আধার কার্ড, ভোটার কার্ড কিংবা জন্মের শংসাপত্র দিলেই হবে না। বাধ্যতামূলক করা হল ব্যাঙ্কের ৩ বছরের স্টেটমেন্ট।
রবিবার বিশেষ সাধারণ সভা ডেকেছিল সিএবি। সেই সাধারণ সভায় সদস্যদের সঙ্গে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের আটকাতে নতুন নিয়মের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি প্রস্তাব দেন, আগামী মরশুমে রেজিস্ট্রেশনের সময় আধার কার্ডের পাশাপাশি রাজ্যের কোনও ব্যাঙ্কের ৩ বছরের স্টেটমেন্ট, ভোটার কার্ড জমা দিতে হবে। কোনও ক্রিকেটারের তিন বছরের ব্যাঙ্ক স্ট্রেটমেন্ট না থাকলে তাঁর বাবা–মা’র ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। ১৮ বছর কম বয়সী ক্রিকেটারদের ভোটার কার্ডের পরিবর্তে স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্মের ডিজিটাল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। যদি কোনও ক্রিকেটার পড়াশোনা না করে, তাহলে কোর্টের এফিডেভিট জমা দিতে হবে। সিএবি সভাপতির এই প্রস্তাবে সব সদস্যই সায় দিয়েছেন।
এদিকে, ঋদ্ধিমান সাহাকে সিএবি–র পক্ষ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হল। সিএবি–র পক্ষ থেকে ঋদ্ধিমানকে বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়। স্মারক তুলে দেন সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ঋদ্ধি প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড় আছে যারা দেশের হয়ে আরও খেলতে পারত। ধোনির সময়ে ঋদ্ধিমান ছিল। ধোনির জন্য বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। আমি মনে করি, ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান। ধোনির ছায়ায় ঢাকা পড়ে থেকে ৪০টা টেস্ট খেলা কম কথা নয়। এই ৪০টা টেস্ট ম্যাচ ঋদ্ধির কাছে আরও বেশি স্পেশাল হয়ে থাকবে।’
যতগুলো আইপিএল দলের হয়ে খেলেছে তারা স্মারক পাঠিয়েছিল ঋদ্ধির জন্য। নাইট রাইডার্সের স্মারক তুলে দেন সৌরভ। যার কথায় অভিমানী হয়ে বাংলা ছেড়েছিলেন ঋদ্ধিমান, সেই দেবব্রত দাসের হাত থেকে হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের স্মারক নিতে হল ঋদ্ধিকে।
আগামী মরশুম থেকে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটে ভিন রাজ্যের খেলোয়াড় রুখতে নয়া নিয়ম চালু করতে চলেছে সিএবি। রবিবার বিশেষ সাধারণ সভার বৈঠক ডেকে বিষয়টা নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন বাংলা ক্রিকেট নিয়ামক সংস্তার (সিএবি) আধিকারিকরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সদস্যরা এই নয়া নিয়ম চালুর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।