কলকাতা ফুটবল লিগে আবার হোঁচট খেল মহমেডান স্পোর্টিং। তৃতীয় ম্যাচেই কালীঘান এমএসের কাছে হারতে হয়েছিল মহমেডানকে। পরপর দু’ম্যাচে জয়ের পর আবার হার। এবার হারতে হল ইউনাইটেড স্পোর্টসের কাছে। ম্যাচের ফল ৩–১। যোগ্য দল হিসেবেই এদিন জিতেছে ইউনাইটেড স্পোর্টস। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ইউনাইটেড স্পোর্টস। আর মহমেডান নেমে গেল ৫ নম্বরে। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০।
মহমেডানের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই দারুণ পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস। বিশেষ করে বাঁদিক থেকে দীপেশ মুর্মু বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। মাঠমাঠকে দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তারক হেমব্রম। ডিফেন্সে রোমিংথাঙ্গা, অঙ্কন ভট্টাচার্যরা মহমেডানের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের সুযোগ দিচ্ছিলেন না। প্রথম ২০ মিনিট মহমেডানকে একেবারেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সুযোগ দেননি ইউনাইটেড ফুটবলাররা। তার মধ্যেই ১৯ মিনিটে ইউনাইটেডের দীপেশ মুর্মু বাঁদিক থেকে দারুণ আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে সেন্টার করেছিলেন। মহমেডানের জেমস সিং কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান।
৩৬ মিনিটে পেনাল্টি পেতে পারত ইউনাইটেড স্পোর্টস। বক্সের মধ্যে ইউনাইটেডের বনশালকে ট্যাকেল করেছিলেন মহমেডান গোলকিপার শুভজিৎ ভট্টাচার্য। রেফারি এড়িয়ে যান। ৪৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মহমেডান। বাঁদিক থেকে আক্রমণ তুলে নিয়ে এসেছিলেন অ্যাডিসন সিং। তাঁর সেন্টার ইউনাইটেড স্পোর্টসের ডিফেন্সে প্রতিহত হয়ে চলে যায় তন্ময় ঘোষের কাছে। তাঁর বাঁপায়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধে মহমেডানের বলার মতো এই একটাই সুযোগ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড স্পোর্টস। ৪৭ মিনিটে বক্সের বাইরে মহমেডানের শুভ ঘোষের হাতে বল লাগলে ফ্রিকিক পায় ইউনাইটেড। হেমব্রমের দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রোমিংথাঙ্গা। ৫৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। বাঁদিক থেকে অ্যাডিসন সিংয়ের সেন্টার ইউনাইটেড গোলকিপার রৌনক সাহা আংশিক প্রতিহত করেন। বল পেয়ে যান লালথানকিমা। তাঁর শট দু–দুবার গোল লাইন থেকে সেভ হয়।
৭২ মিনিটে মহমেডানের সামনে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। তন্ময় ঘোষের বাঁপায়ের দুরন্ত ভলি ততোধিক দক্ষতায় বাঁচিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন ইউনাইটেড গোলকিপার রৌনক। ৮১ মিনিটে ইউনাইটেড স্পোর্টসের জয় নিশ্চিত করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা সুজল মুন্ডা। তারক হেমব্রমের সঙ্গে ওয়ান–টু–ওয়ান খেলে মহমেডানের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন সুজল। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে ব্যবধান কমায় মহমেডান। বক্সের মধ্যে ঢুকে ডানপায়ের জোরালো শটে গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা মহীতোষ রায়। ইনজুরি সময়ে চাপ রাখলেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি মহমেডান। উল্টে ইনজুরি সময়ের একেবারে শেষমুহূর্তে ৩–১ করেন সুজল মুর্মু।
আরও পড়ুনঃ জয় শাহ: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের রত্নভাণ্ডারে আস্ত একটা মাকাল ফল
আরও পড়ুনঃ ইগর স্টিম্যাকের পরিবর্ত কে? ২০ জনের তালিকা তৈরি করেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন