প্রকাশিত হল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এর গ্রুপ বিন্যাস। কঠিন গ্রুপে রয়েছে গতবারের আইএসএলের লিগ–শিল্ডজয়ী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এশিয়ার শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে লড়তে হবে মোহনবাগানকে। ইস্টবেঙ্গল তুর্কমেনিস্তানের আলটিন আসিরের বিরুদ্ধে জিতলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এ খেলার সুযোগ পেত।
শুক্রবারই এএফসি–র সদর দফতর কুয়ালালামপুরে হয়েছে গ্রুপ বিন্যাস। মোট ৩২টি দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটা গ্রুপ থেকে ২টি করে দল নকা আউটে খেলবে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। মেহনবাগান সঙ্গে রয়েছে কাতারের আল ওয়াকরাহ এসসি, ইরানের ট্র্যাক্টর এফসি এবং তাজিকিস্তানের এফসি রাভশান। গ্রুপের তিনটি দলই মোহনবাগানের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী। এশিয়ান র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে। ফলে হোসে মোলিনার দলের কাছে লড়াই সহজ হবে না।
পাশাপাশি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসকে সূচি নিয়েও সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ১৩ সেপ্টেম্বর আইএসএল শুরু। আর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এর লিগপর্ব শুরু হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৭ কিংবা ১৮ সেপ্টেম্বর মোহনবাগান মাঠে নামবে। ঘরের মাঠে সম্ভবত ইরানের ট্র্যাক্টর এফসি–র বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ। অ্যাওয়ে ম্যাচ সম্ভবত ২৬ কিংবা ২৭ নম্ভেম্বর। অক্টোবরের শুরুতেই তাজিকিস্তানের এফসি রাভশানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। কাতারের আল ওয়াকরাহর বিরুদ্ধে প্রথমে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান। ২২ কিংবা ২৩ অক্টোবর এই ম্যাচ হতে পারে। হোম ম্যাচ হতে পারে ৫ কিংবা ৬ নভেম্বর। আর এফসি রাভশানের বিরুদ্ধে খেলার সম্ভাবনা ৩ কিংবা ৪ ডিসেম্বর। অর্থাৎ আইএসএল চলাকালীনই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এর কঠিন ম্যাচ খেলতে হবে মোহনবাগানকে।
সবুজ–মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট এবছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–তে ভাল ফল করার লক্ষ্যে শক্তিশালী দল গড়েছে। গতবারের টিমের দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্সদের ধরে রাখার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন, টম অ্যালড্রেড, স্কটল্যান্ডের গ্রেগ স্টুয়ার্টদের নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন দেশীয় ভাল ফুটবলারকে সই করিয়েছে। নতুন কোচ হোসে মোলিনার হাত ধরে নতুন স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
গ্রুপ বি–তে রয়েছে সৌদি আরবের আল তাওউন এফসি, ইরাকের এয়ার ফোর্স ক্লাব, বাহরিনের আল খালদিয়া এসসি এবং তুর্কমেনিস্তানের আলটিন আসির। গ্রুপ সি–তে রয়েছে ইরানের সেপাহান এসসি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শারজা এফসি, তাজিকিস্তানের এফসি ইস্তিকলোল এবং জর্ডনের আল ওয়েহদাত। গ্রুপ ডি–তে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শাবাব আল আহলি, উজবেকিস্তানের পিএফসি নাসাফ, জর্ডনের আল হুসেন এবং কুয়েতের কুয়েত এসসি।
অন্যদিকে ইস্টজোনে গ্রুপ ই–তে রয়েছে শীর্ষ বাছাই জাপানের সানফ্রেসে হিরোশিমা, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এফসি, ফিলিপিন্সের কায়া এফসি–ইলোইলো এবং হংকংয়ের ইস্টার্ন কোম্পানি। গ্রুপ এফ–তে রয়েছে চীনের ঝেজিয়াং এফসি, থাইল্যান্ডের পোর্ট এফসি, সিঙ্গাপুরের লায়ন সিটি সেলার্স এফসি এবং ইন্দোনেশিয়ার পারসিব বান্দুং। গ্রুপ জি–তে রয়েছে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক ইউনাইটেড, ভিয়েতনামের নাম দিন এফসি, হংকংয়ের লি ম্যান এবং সিঙ্গাপুরের ট্যাম্পাইন্স রোভার্স। গ্রুপ এইচ–এ রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনবুক হুন্ডাই মোটরস, মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর এফসি, থাইল্যান্ডের মুম্বাইং ইউনাইটেড ও ফিলিপাইনের সেবু এফসি।