সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলকাতায় ফেরার পরই ২ জানুয়ারি বাংলা দলকে সংবর্ধনা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সভাঘরে সেদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সন্তোষ ট্রফি জয়ী ফুটবলারদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফুটবলারদের চাকরির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। প্রতিশ্রুতি পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ফুটবলারদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল।
বুধবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এক সরকারি অনুষ্ঠানে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা ফুটবলারদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ফুটবলাররা পুলিশে চাকরি পেলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ফুটবলারদের সাব–ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলের পদে চাকরি দেওয়া হল। শুক্রবার থেকেই ফুটবলারদের চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা আইএফএ অফিসে এসে ফুটবলারদের আবেদনপত্র পূরণের কাজ সম্পন্ন করেন। বুধবার সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলা দলের কোচ ও ফুটবলারদের। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ফুটবলার এবং কোচ সঞ্জয় সেনকে। এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফুটবলারদের হাতে চাকরির নিযোগ পত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুসহ রাজ্য মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য। এছাড়াও ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সুফল রঞ্জন গিরি, বিওএ সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘ফুটবলে বাংলা আবার ভারতসেরা হয়েছে। এরজন্য কোচ সঞ্জয় সেনসহ সমস্ত ফুটবলারদের ও আইএফএ–র সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ ফুটবলারদের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। ফলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।’
এদিকে, সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে বুধবার সংবর্ধিত করল ভবানীপুর ক্লাব। অনুষ্ঠানে সন্তোষ ট্রফি জয়ী কোচ সঞ্জয় সেনসহ উপস্থিত ছিলেন ফুটবলাররা। সদ্য মহমেডানে যোগ দেওয়া রবি হাঁসদা ও ইসরাফিল দেওয়ানরা ক্লাবের অনুশীলন থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভবানীপুর ক্লাবের পক্ষ থেকে থেকে চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলকে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। কোচ ও ফুটবলারদের প্রত্যেককে ঘড়িও দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ভবানীপুর ক্লাবের কর্ণধার টুটু বসু, প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, কম্পটন দত্ত, অতনু ভট্টাচার্য, দেবজিৎ ঘোষ, শিলটন পাল, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, মোহনবাগান সহ–সভাপতি কুণাল ঘোষ, আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, মহামেডান সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু, কার্যনির্বাহী সভাপতি কামারউদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় কোহলি, পেছনে পড়ে গেলেন বাবর আজমেরও
আরও পড়ুনঃ ডার্বির আগেই আরও শক্তিশালী হল ইস্টবেঙ্গল, দলে নেইমারের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার রিচার্ড