বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েই কি ক্রিকেটজীবন শেষ করবেন ঋদ্ধিমান সাহা? সম্ভাবনা কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সোমবার ঋদ্ধির কথাতে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ক্রিকেট জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি ঋদ্ধি। হঠাৎ করে ক্রিকেটজীবনের শেষ প্রান্তে এসে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছে জাগল কেন ঋদ্ধির?
বছর দুয়েক আগে বাংলার এক ক্রিকেট কর্তার মন্তব্যে গোঁসা হয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহার। অভিমানে বাংলা ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। ২ বছর ত্রিপুরায় কাটিয়ে এবছর আবার বাংলায় ফিরে এসেছেন। সামনের মরশুমে বাংলার হয়ে খেলবেন ৩৯ বছর বয়সী ঋদ্ধিমান। গত মরশুমে অবসর নিয়েছেন মনোজ তেওয়ারি। এই মরশুমে তাহলে বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন কে? অভিমন্যু ঈশ্বরণ এসময় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ। এই অবস্থায় ঋদ্ধিই ভরসা।
আবার বাংলায় ফেরার পর কি নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে? ঋদ্ধির বক্তব্য, ‘সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট ও সিএবি কর্তাদের ব্যাপার। যে কোনও দায়িত্ব নিতেই আমি তৈরি। দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে সেটাই পালন করার চেষ্টা করব। সেরাটা দেব।’ ঋদ্ধির কথাতেই কিন্তু স্পষ্ট, বাংলাকে নেতৃত্ব দিতে তিনি তৈরি। অথচ এই ঋদ্ধিমানকে একসময় অধিনায়ক করার জন্য উঠে–পড়ে লেগেছিলেন সিএবি কর্তারা। নিজের সেরা সময়ে বাংলার দায়িত্ব নেননি। তাহলে ক্রিকেটজীবনের সায়াহ্নে এসে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছে জাগল কেন ঋদ্ধির? মনোজ তেওয়ারি থাকার জন্যই কি নেতৃত্বের ব্যটন হাতে তুলে নেননি? তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ঋদ্ধির কথায়।
তবে ২ বছর পর আবার বাংলায় ফিরে আসতে পেরে উত্তেজিত ঋদ্ধিমান। তিনি বলেন, ‘বাংলায় ফিরে আসতে পেরে আমি খুশি এবং উত্তেজিত। আমি রাজ্যের হয়ে খেলতে ও সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। এখন পর্যন্ত, আমার পরিকল্পনা হল বাংলার হয়ে তিনটি ফরম্যাটেই খেলব, এবং এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কেমন থাকবে তার উপর।’ ঋদ্ধি আরও বলেন, ‘বাংলায় এখন তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ রয়েছে। আশা করি এই সমন্বয় একটা শক্তিশালী দল গড়তে সাহায্য করবে।’
বরাবরই জুনিয়র ক্রিকেটারদের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন ঋদ্ধি। অথচ ৩৯ বছর বয়সেও তিনি বাংলার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে জুনিয়র ক্রিকেটারদের জায়গা নষ্ট হবে না? রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন অভিষেক পোড়েল। এই প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেন, ‘আমাকে খেলাবে কিনা সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। লালজি (অরুণলাল) কোচ থাকার সময় আমি অভিষেক পোড়েলকে খেলানোর কথা বলেছি। সামনের মরশুমেও ওকে খেলানোর কথা বলব। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করেন অভিষেক কিপিং করলে অনেক ভাল হবে, তাহলে ও কিপিং করবে। আমি অন্য ভূমিকায় খেলব। দলের উন্নতির জন্য সব কিছু করব। অভিষেকের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করব।’