রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। নিউজিল্যান্ডের মুখোমখি হবে ভারত। কিউয়িদের বিরুদ্ধে মেগা ফাইনালে মাঠে নামার আগে চিন্তায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে বিরাট কোহলিকে নিয়ে। আদৌও ফাইনালে মাঠে নামতে পারবেন তো তিনি? চিন্তা নিউজিল্যান্ড শিবিরেও। দলের নির্ভরযোগ্য জোরে বোলার ম্যাট হেনরি চোটের জন্য অনিশ্চিত।
শুক্রবার অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। নেটে জোরে বোলারদের খেলার সময় একটা বল সরাসরি তাঁর হাঁটুতে আঘাত করে। চোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর আর অনুশীলন করেননি। দলের ফিজিওরা কোহলির কাছে গিয়ে হাঁটুতে ব্যাথানাশক স্প্রে করেন। ব্যান্ডেজ দিয়ে হাঁটু বেঁধেও দেন। এই হাঁটুর চোটই কোহলির খেলার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। যদিও ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোহলির চোট গুরুতর নয়। ফাইনালে খেলতে তাঁর অসুবিধা হবে না।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে যতই বলা হোক না কেন চোট গুরুতর নয়, কোহলিকে নিয়ে সংশয় অবশ্য যাচ্ছে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের আগে থেকেই হাঁটুর চোট সমস্যা ভোগাচ্ছে কোহলিকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় খেলতে পারেননি। যদি সিরিজের বাকি ম্যাচে খেলেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দারুণ ছন্দে রয়েছেন। শনিবার অবশ্য হাঁটুতে ব্যান্ডেজ ছাড়াই অনুশীলন করেছেন কোহলি।
কোহলি যদি একান্তই খেলতে না পারেন, ব্যাটিং কিন্তু অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। যদিও মিডল অর্ডারে শ্রেয়স আয়ার, লোকেশ রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়ারা দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ভারতীয় দলের ব্যাটিং গভীরতা যথেষ্ট। নিউজিল্যান্ডও কিন্তু পিছিয়ে নেই। রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসনরা দারুণ ছন্দে রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন গ্লেন ফিলিপস, ড্যারিল মিচেল, টম লাথাম, উইল ইয়ংয়ের মতো ব্যাটাররা।
বোলিং শক্তিতে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। ভারতের মূল ভরসা স্পিনাররা। এখন দেখার ফাইনালে ভারত ৪ স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে কিনা। যদি ৩ স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে, তাহলে কুলদীপ যাদবের বাদ পড়ার সম্ভাবনা বেশি। নিউজিল্যান্ডের বোলিংও যে খুব বেশি পিছিয়ে রয়েছে, একথা বলা যাবে না। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার তো রয়েছেনই, এছাড়া মাইকেল ব্রেসওয়েলও দারুণ বোলিং করছেন। এছাড়া রয়েছেন গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রবীন্দ্রর মতো পার্ট–টাইম স্পিনাররা।
এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেটশিকারী ম্যাট হেনরি। তাঁর কাঁধে চোট রয়েছে। একান্তই তিনি খেলতে না পারলে জেকব ডাফি বা নাথান স্মিথের মধ্যে একজন প্রথম একাদশে ঢুকবেন। তবে হেনরির না থাকাটা বড় ধাক্কা হবে নিউজিল্যান্ডের কাছে।
আইসিসি–র প্রতিযোগিতায় ভারত ও নিউজিল্যান্ড শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে। সেবার ভারতকে রিজার্ভ ডে–তে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ ৬টি একদিনের ম্যাচে সব কটাতেই জিতেছে ভারত। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগের ম্যাচেও জিতেছিল ভারত। ফাইনালে অবশ্য অন্য লড়াই। প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হবে কিউয়িরা।