চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ড থেকে পালিয়ে গিয়ে ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে প্রত্যার্পন এড়াবেন। ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে নিজের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু ললিত মোদীর সেই পরিকল্পনা কাজে লাগল না। ভানুয়াতুর পাসপোর্ট বাতিল করল সেদেশের সরকার। ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাট সোমবার নাগরিকত্ব কমিশনকে ললিত মোদীকে জারি করা পাসপোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন যে, পলাতক ললিত মোদী তাঁর প্রত্যর্পণ এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
ভানুয়াতু প্রজাতন্ত্রের এক সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাট বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক প্রকাশের পর নাগরিকত্ব কমিশনকে ললিত মোদীকে জারি করা ভানুয়াতুর পাসপোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছি। গত ২৪ ঘন্টায় আমাকে জানানো হয়েছে যে ইন্টারপোল ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ললিত মোদীর বিরুদ্ধে সতর্কতা নোটিশ জারি করার অনুরোধ দুবার প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ধরনের যে কোনও সতর্কতা নোটিশ মোদীর নাগরিকত্বের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাখ্যানের কারণ হত।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে ভানুয়াতু পাসপোর্ট ধারণ করা একটি বিশেষাধিকার, অধিকার নয় এবং আবেদনকারীদের অবশ্যই বৈধ কারণে নাগরিকত্ব চাইতে হবে। এই বৈধ কারণগুলির মধ্যে কোনওটিই প্রত্যর্পণ এড়ানোর চেষ্টার অন্তর্ভুক্ত নয়, যা সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যগুলি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে মিঃ মোদীর উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যার্পন এড়ানো।’ একটা সূত্র জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে ভারতের হাইকমিশনার নীতা ভূষণ, আরও কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের হাইকমিশনার ললিত মোদীর ভানুয়াতু পাসপোর্ট বাতিল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
৭ মার্চ ললিত মোদী তার ভারতীয় পাসপোর্ট সমর্পণের জন্য একটি আবেদন জমা দেন এবং পরে বিদেশ মন্ত্রক তা নিশ্চিত করে।মোদী ২০১০ সালে ভারত ছেড়ে লন্ডনে বসবাস করছিলেন। তিনি এখন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তারপরই তিনি লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে তাঁর পাসপোর্ট সমর্পণের জন্য আবেদন করেন। আইপিএলের চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি প্রাক্তন ললিত মোদীকে খুঁজছে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৭ বিশ্বকাপেও খেলবেন? এখনই একদিনের ক্রিকেটকে বিদায়ের পরিকল্পনা নেই রোহিতের