২০০৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। কাটিয়ে ফেলেছেন ১৬টা বছর। এবছর ডিসেম্বরে ৩৬ বছর পূর্ণ হবে। টেস্ট ক্রিকেটজীবন আর দীর্ঘায়িত করতে চান না টিম সাউদি। টেস্টক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড এই জোরে বোলার। ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যামিল্টনে শেষবার মাঠে নেমে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন টিম সাউদি।
২০০৮ সালের মার্চে নেপিয়ারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল টিম সাউদির। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই জীবনের শেষ টেস্ট খেলবেন। ৩ টেস্টের সিরিজ খেলতে এমাসেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে ইংল্যান্ড। ২৮ নভেম্বর ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্ট শুরু। দ্বিতীয় টেস্ট ৬ ডিসেম্বর থেকে, ওয়েলিংটনে। আর তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর হ্যামিল্টনে। হ্যামিল্টনে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে জীবনের শেষ টেস্ট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাউদি।
অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সাউদি বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছিলাম। দেশের হয়ে ১৬ বছর খেলতে পারাটা আমার কাছে দারুণ সম্মানের, গর্বের ব্যাপার। ক্রিকেট থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের একটা বিশেষ স্থান রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে টেস্ট জীবন শুরু করেছিলাম, তাদের বিরুদ্ধেই শেষ করব। এটা আমার ক্রিকেটজীবন সমাপ্তির পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাপার। পরিবার, বন্ধু, কোচ, ভক্ত এবং খেলার সঙ্গে জড়িত যারা আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে স্বীকৃত টিম সাউদি। টেস্ট, একদিনের ও টি২০ ক্রিকেট মিলিয়ে ঝুলিতে এখন পর্যন্ত রয়েছে ৭৭০ উইকেট। ১০৪ টেস্টে সাউদি নিয়েছেন ৩৮৫ উইকেট। স্যার রিচার্ড হ্যাডলির (৪৩১) পর কিউয়ি বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সাউদি ও ড্যানিয়েল ভেট্টরি (৬৯৬) ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আর কোনও বোলার একসঙ্গে টেস্টে ৩০০, ওয়ানডেতে ২০০ এবং টি২০ ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলস্টোন স্পর্শ করতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলবেন বলে জানিয়েছেন সাউদি।
আরও পড়ুনঃ ব্রাজিলের রেফারিকে শাসালেন মেসি! বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এগিয়ে গিয়েও প্যারাগুয়ের কাছে হার আর্জেন্টিনার
আরও পড়ুনঃ থাইল্যান্ডকে ১৩ গোলের মালা পড়িয়ে মহিলাদের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত