প্রথম দিন শেষবেলায় নেমেছিলেন নৈশপ্রহরী হিসেবে। আর তাঁর ব্যাটেই কিনা সেঞ্চুরি! প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের জীবনের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ইডেনে রনজি ট্রফির ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে চালকের আসনে বাংলা। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ইডেন থেকে ৬ পয়েন্ট ঝুলিতে আসবে বাংলার। যদিও তাতে কোনও লাভ হবে না। গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই নক আউটের ছাড়পত্র নিশ্চিত করে ফেলেছে কেরল ও হরিয়ানা।
বল হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন সুরজ সিন্ধু। তাঁর ব্যাটের হাতও যে খারাপ নয়, অতীতে তার প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু আগে কখনও সেঞ্চুরি পাননি। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেটাও তুলে নিলেন। প্রথম দিন বাংলার ২৮তম ওভারে অনুষ্টুপ মজুমদার আউট হওয়ার পর সুরজকে নৈশপ্রহরী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। এদিন দুরন্ত ব্যাটিং করলেন। অন্যপ্রান্তে স্বীকৃত ব্যাটাররা যখন ব্যর্থ, রীতিমতো দাপটের সঙ্গে সামাল দিলেন পাঞ্জাবের বোলারদের।
এদিন প্রথম আউট হন সুমন্ত গুপ্ত। ৫৩ বলে ৫২ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন। জীবনের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ঋদ্ধিমান সাহা। ৭ বল ক্রিজে থেকে কোনও রান না করেই তিনি আউট হন। বিশাল ভাটি করেন ১১। শেষ দিকে মহম্মদ কাইফ সঙ্গ না দিলে সেঞ্চুরি পেতেন না সুরজ। ১৮৫ বলে ১১১ রান করে আউট হন তিনি। মায়াঙ্ক মার্কান্ডেকে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছন। মহম্মদ কাইফ করেন ২৭। ৩৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলা।
১৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাঞ্জাব। দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভাল হয়নি। চতুর্থ ওভারে সহজ ধাওয়ানকে (৩) তুলে নেন সুমিত মোহান্ত। সপ্তম ওভারে পরিবর্ত ফিল্ডার ঋষভ বিবেকের সরাসরি থ্রো–তে রান আউট হন পুখরাজ মান (০)। এরপর বিশ্বনাথ সিংকে (২৩) তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকে আরও চাপে ফেলে দেন মহম্মদ কাইফ। দিনের শেষে পাঞ্জাব ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান তুলেছে। ক্রিজে রয়েছেন আনমোলপ্রীত সিং (২৮) ও প্রভসিমরন সিং (৯)। ইনিংস পরাজয় এড়াতে পাঞ্জাবের এখনও প্রয়োজন ৮৮ রান।
পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ইনিংসে জিতলেও বাংলার নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা এদিনই শেষ করে দিয়েছে কেরল। বিহারকে হারিয়ে ইনিংস ও ১৬৯ রানে। ৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল কেরল। ৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়ে আগেই নকআউট নিশ্চিত করেছিল হরিয়ানা।
আরও পড়ুনঃ আবার সেই অফস্টাম্পের দুর্বলতা, রঞ্জিতেও ব্যর্থ বিরাট কোহলি, মাত্র ৬ রানে বোল্ড
আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত, সামনে এবার দক্ষিণ আফ্রিকার