প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও হার। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হল পাকিস্তান। অধিনায়ক শান মাসুদের দুরন্ত লড়াইও মান বাঁচাতে পারল না পাকিস্তানে। দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের কাছে একটাই সান্তনা অধিনায়ক শান মাসুদের রানে ফেরা ও দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে নামানো।
পাকিস্তানের বোলারদের রীতিমতো ক্লাব স্তরে নামিয়ে নিয়ে এসে ৬১৫ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়ান রিকেলটন করেন ২৫৯। সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা (১০৬) ও ভেরেইনে (১০০)। জবাবে মাত্র ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। সর্বোচ্চ রান করেন বাবর আজম (৫৮)। মহম্মদ রিজওয়ান করেন ৪৬। দক্ষিণ আফ্রিকা ফলোঅন করায় পাকিস্তানকে।
পাকিস্তান ইনিংস হার এড়াতে পারবে কিনা, সেটাই ছিল দেখার। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান পাকিস্তান ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটিতে ২০৫ রান তোলেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও বাবর আজম। ৮১ রান করে আউট হন বাবর। খুররম শাহজাদ (১৮) রান পাননি। মিডল অর্ডারে কামরান গুলাম (২৮), সৌদ শাকিল (২৩), মহম্মদ রিজওয়ান (৪১), আগা সলমানরা (৪৮) রান না পাওয়ায় পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারে কিনা, সেটাই ছিল দেখার। শেষ পর্যন্ত ৪৭৮ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। অধিনায়ক শান মাসুদ করেন ১৪৫।
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৭। কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। বেডিংহাম ৪৭ ও এইডেন মার্করাম ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা হয়েছে রায়ান রিকেলটন। সিরিজের সেরা মার্কো জানসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৬১৫ ও ৫৮/০ (বেডিংহাম অপরাজিত ৪৭, মার্করাম অপরাজিত ১৪)। পাকিস্তান: ১৯৪ ও ৪৭৮ (মাসুদ ১৪৫, বাবর ৮১, সলমান ৪৮, রিজওয়ান ৪১, জামাল ৩৪, কামরান ২৮, শাকিল ২৩; রাবাদা ৩/১১৫, মহারাজ ৩/১৩৭, জানসেন ২/১০১, মাফাকা ১/৪৭)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ উইকেটে জয়ী।
দুই টেস্টের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২–০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচের সেরা: রায়ান রিকেলটন।
সিরিজের সেরা: মার্কো জানসেন।