রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, না ভারতীয় দলের কোচ? কোনটা বেছে নিতে চান? রাজনীতি থেকে তিনি যে বরাবরই দুরে থাকতে চান, আবার পরিস্কার করে জানিয়ে দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদ নয়, জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হতেই বেশি আগ্রহী তিনি। সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের বাসনার কথা জানিয়েছেন সৌরভ।
আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সৌরভকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল। সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিলেন। পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে নামতে চান না। সামনের বছর রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তাঁকে যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে বলা হয় তাহলে কি প্রস্তাবটা গ্রহন করবেন? সৌরভের সামনে প্রস্তাবটা রাখা হয়েছিল। সৌরভ বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি আগ্রহী নই।’ এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়? এই প্রশ্নের জবাবেও সৌরভ বলেন, ‘তবুও আমি আগ্রহী নই।’
তিনি যে ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চান, সেকথা পরিস্কার করে দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, ‘অতীতে আমি নানা ভূমিকায় কাজ করেছি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর খেলা ছাড়ার পর সিএবি সভাপতি হয়েছি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছি। সেই সময় ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। আমার বয়স এখন ৫০। দেশকে কোচিং করানোর জন্য তৈরি। শেষ পর্যন্ত দেখা যাক কী হয়।’ সিএবি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও দুই দফায়, ২০১৮ থেকে ২০১৯ এবং ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি আইসিসি–র পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান।
নিজে কোচ হওয়ার বাসনার কথা তুলে ধরলেও বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের কাজে দারুণ খুশি সৌরভ। তিনি বলেন, ‘শুরুটা একটু খারাপ হয়েছিল। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেস্ট সিরিজে হেরেছিল। কিন্তু এখন দারুণ কাজ করেছে। এবছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। এখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজটা ওর কাছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছএ। কোচের ভূমিকায় আমি ওকে খুব কাছ থেকে দেখিনি। কিন্তু জানি সে খুবই নিবেদিত ও উদ্যমী। একসঙ্গে খেলেছি। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকত।’