সকাল থেকেই কাতারে কাতারে ভিড় মুম্বই বিমানবন্দর থেকে মেরিন ড্রাইভ। স্বপ্নের নায়কদের বরণ করে নিতে হাজির ক্রিকেটপ্রেমীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমাগম ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্বজয়ীদের বরণে বাধ সাধল বৃষ্টি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশন শুরু হল অনেকটাই দেরিতে। বৃষ্টিমাথায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রমীরা।
বিশেষভাবে সজ্জিত হুডখোলা বাসে ভিকট্রি প্যারেডে অংশ নেবেন রোহিত শর্মারা। এমনই ঠিক ছিল। গুজরাট থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল বাস, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিজয় রথ’। ভারতের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে হুডখোলা বাসটিকে। গুজরাট থেকে নিয়ে এসে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল বাসটি। কথা ছিল মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু হবে ‘ভিকট্রি ল্যাপ’। এতটাই জনজোয়ার, ‘বিজয় রথ’–কে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। বৃষ্টির জন্য বাধ সাধল ‘ভিকট্রি প্যারেড’।
বিকেল পাঁচটায় ভিকট্রি প্যারেড শুরু হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টির জন্য রাত ৮ টার সামান্য আগে শুরু হয়। হুডখোলা ‘বিজয় রথ’ বাসে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি ট্রফি উঁচুতে তুলে ধরতেই মেরিন ড্রাইভে জনগর্জন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস থেকে ২ কিমি দূরত্বে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টার বেশি। রোহিত ও অন্য ক্রিকেটাররা ক্রিকেটপ্রেমীদের অভিবাদন গ্রহন করেন।
দুপুরে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলেন রোহিতরা। বিকেলে মুম্বই বিমানবন্দরে যখন ক্রিকেটাররা বাসে উঠছিলেন, হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি। তাৎপর্যপূর্ণ ছবি। একসময় এই হার্কিকেই মুম্বইয়ে ‘দুয়োওট শুনতে হয়েছিল, এদিন তাঁর নামে জয়ধ্বনি। মুম্বই বিমানবন্দরেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের পক্ষ থেকে। সন্ধেয় মেরিন ড্রাইভে ‘ভিকট্রি প্যারেড’। তারপর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান।
মুম্বই আসার আগে এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে যায় গোটা ভারতীয় দল। সকাল ১০.৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছয়। বিশ্বজয়ী দলের সদস্যরা চ্যাম্পিয়ন লেখা ভারতীয় দলের জার্সি পরেছিলেন। ১১ টার একটু পর অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্বজয়ী দলের সদস্যরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষকর্তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কাটান রোহিতরা। রোহিত এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দেন। মোদী সকলের সঙ্গে কথা বলে আলাদা আলাদা ভাবে অভিনন্দন জানান। প্রত্যেকের কাছে বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান। যশপ্রীত বুমরার পুত্রকেও কোলে তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী। পিছনে ১ নম্বর ও NAMO লেখা বিশেষ জার্সি নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি ও সচিব জয় শাহ।