আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রিয়াংশ আর্যর মজ্জাগত। টি২০ ফরম্যাটে ব্যাট হাতে যে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, ব্যাট হাতে বিধ্বংসী। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। সে স্থানীয় টি২০ প্রতিযোগিতাই হোক, কিংবা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। এবার আইপিএলেও সেঞ্চুরি। আইপিএলের হাত ধরে নতুন তারকার জন্ম। ক্রিকেট বিশ্ব চিনল প্রিয়াংশ আর্যকে। পাঞ্জাব কিংসের এই ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ ওপেনারের দাপটে উড়ে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। হার ১৮ রানে। ৪২ বলে ১০৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন প্রিয়াংশ। এই নিয়ে টানা ৪ ম্যাচে হার চেন্নাইয়ের।
ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। প্রথম বলেই খলিল আমেদকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন প্রিয়াংশ। ওই ওভারে আরও একটা ছক্কা মারেন। খলিলের প্রথম ওভারে ১৬ রান নেন প্রিয়াংশ। পরের ওভারের প্রথম বলেই প্রভসিমরন সিংকে (০) তুলে নেন মুকেশ চৌধরি। শ্রেয়স আয়ার (৭ বলে ৯), মার্কাস স্টয়নিস (৭ বলে ৪), নেহাল ওয়াধেরা (২ বলে ১), গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা (২ বলে ১) অন্যপ্রান্তে পরপর ফিরে গেলেও নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং থেকে সরে আসেননি প্রিয়াংশ।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান প্রিয়াংশ। তাঁর হাফ সেঞ্চুরি আসে মাত্র ১৯ বলে। পরের ৫০ করেন ২০ বলে। ১৩তম ওভারে মাথেশা পাথিরানাকে পরপর তিনটি ৬ ও একটা ৪ মেরে ৮০ থেকে ১০২ রানে পৌঁছে যান প্রিয়াংশ। এবছরই আইপিএলে অভিষেক। গুজরাটের টাইটান্সের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ২৩ বলে করেছিলেন ৪৭। চতুর্থ ম্যাচেই জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি। ৩৯ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান। আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে চতুর্থ দ্রুততম। শেষপর্যন্ত ৪২ বলে ১০৩ রান করে আউট হন প্রিয়াংশ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭টি ৪ ও ৯টি ৬।
দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় আউট হন প্রিয়াংশ। তিনি আউট হওয়ার পর পাঞ্জাবের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শশাঙ্ক সিং ও মার্কো জানসেন। দুজনই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পাঞ্জাবকে ২০ ওভারে ২১৯/৬ রানে পৌঁছে দেন। ৩৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন শশাঙ্ক সিং। মার্কো জানসেন ১৯ বলে করেন অপরাজিত ৩৪। খলিল আমেদ ৪৫ রানে ২টি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪৮ রানে ২টি উইকেট নেন।
ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬১। সপ্তম ওভারে জুটি ভাঙেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর বলে স্টাম্পড হন রাচিন রবীন্দ্র (২৩ বলে ৩৬)। পরের ওভারেই চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (১) ফেরান লকি ফার্গুসন।
ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬১। সপ্তম ওভারে জুটি ভাঙেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর বলে স্টাম্পড হন রাচিন রবীন্দ্র (২৩ বলে ৩৬)। পরের ওভারেই ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (১) ফেরান লকি ফার্গুসন। ৬২ রানে ২ উইকেট হারায় চেন্নাই।
এরপর চেন্নাইকে টেনে নিয়ে যান ডেভন কনওয়ে ও শিবম দুবে। শিবমকে (২৭ বলে ৪২) তুলে মোক্ষম আঘাত হানেন ফার্গুসন। শিবম আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে বাইশ গজে। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন ধোনি। চেন্নাই সমর্থকরা জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু আগের ধোনি (১২ বলে ২৭) আর নেই। তবুও চেষ্টা করেছিলেন। ধোনি ক্রিজে আসার পরই রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফিরে যান কনওয়ে (৪৯ বলে ৬৯)। ধোনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। রবীন্দ্র জাদেজা (৫ বলে অপরাজিত ৯) কিছু করতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০১/৫ রানে থেমে যায় চেন্নাই। ৪০ রানে ২ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন।