৬ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। ওর্টনিল বার্টম্যানের ওভারের প্রথম ৫ বলে ৬ রান তুলেছিলেন গুলশান ঝা। শেষ বলে ২ রান করলে জয়, ১ রান করলে ম্যাচ সুপার ওভারে। ব্যাটে–বলে করতে না পেরে ১ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করার চেষ্টা করেছিলেন গুলশান। লক্ষ্যে সফল হননি। সামান্যর জন্য রান আউট হন। নাটকীয়ভাবে ১ রানে ম্যাচ জিতে মান বাঁচায় দক্ষিণ আফ্রিকার। অল্পের জন্য ইতিহাস তৈরি করতে পারল না নেপাল। অন্য ম্যাচে, উগান্ডাকে উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর আয়ার্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে পাকিস্তান।
চলতি টি২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা মোটেই ছন্দে নেই। নেপালের বিরুদ্ধেও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা। ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১১৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি। সর্বোচ্চ রান করেন রেজা হেনড্রিকস (৪৯ বলে ৪৩)। ১৮ বলে ২৭ রান করেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুরন্ত বোলিং করে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন কুশসল ভুরটেল। ২১ রানে ৩ উইকেট দীপেন্দ্র সিংয়ের।
ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিল নেপাল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৩৫। ১৩ ওভার পর্যন্ত রান তোলার গতি ভাল ছিল। অনিল শা (২৪ বলে ২৭) আউট হওয়ার পর রান তোলার গতি কমে যায়। আসিফ শেখ (৪৯ বলে ৪২) দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ২০ ওভারে ১১৪/৭ রানে থেমে যায় নেপাল। ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন তাবরেজ শামসি। আগেই সুপার এইটে পৌঁছনো দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থাকল।
অন্য ম্যাচে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড কিছুটা উন্নত করল উগান্ডা। আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তুলল ৪০। সর্বোচ্চ রান কেনেথ ওয়াসোয়ার ১১। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪ রানে ৩ উইকেট নেন টিম সাউডদি। ২টি করে উইকেট নেন বোল্ট, স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র। ৫.২ ওভারে ৪১/১ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।
বৃষ্টির জন্য দুর্ভাগ্যের শিকার হল গতবারের রানার্স পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় তারা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল। যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড ১ পয়েন্ট করে পেল। গ্রুপ ‘এ’-তে আপাতত ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট ভারতের। ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রের। এই দুটি দলই সুপার এইটে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পয়েন্ট ৩ ম্যাচে ২, আয়ারল্যান্ডের ৩ ম্যাচে ০ ও কানাডার ৩ ম্যাচে ২।