ব্যর্থতা কাটিয়ে আগের দুটি ম্যাচে ছন্দে ফিরেছিলেন রোহিত শর্মা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আবার ছন্দহীন। যদিও তাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয় আটকাল না। লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৫৪ রানে উড়িয়ে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে গেল মু্ম্বই। দুরন্ত ব্যাটিং রায়ান রিকেলটন ও সূর্যকুমার যাদবের। বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেলেন যশপ্রীত বুমরা ও ট্রেন্ট বোল্ট। এই দুই জোরে বোলারের দাপটেই বিধ্বস্ত লখনউ।
টস জিতে মুম্বইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। শুরুটা ভাল হয়নি মুম্বইয়ের। তৃতীয় ওভারেই ডাগ আউটে রোহিত (৫ বলে ১২)। এরপর মুম্বইয়ে এগিয়ে নিয়ে যান রায়ান রিকেলটন ও উইল জ্যাকস। ৩২ বলে ৫৮ রান করে আউট হন রিকেলটন। ২১ বলে ২৯ রান করেন উইল জ্যাকস। তিলক ভার্মা (৫ বলে ৬), হার্দিক পান্ডিয়া (৭ বলে ৫) রান না পেলেও দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। ২৮ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে তিনি আউট হন। মারেন ৪টি করে চার ও ছয়।
দলীয় ১৮০ রানের মাথায় আউট হন সূর্যকুমার যাদব। এরপর ঝড় তোলেন নমন ধীর ও করবিন বস। এই দুজনের দাপটেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৫ রানে পৌঁছয় মুম্বই। ১০ বলে ২০ রান করেন করবিন বস। ১১ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন নমন ধীর। লখনউর হয়ে মায়াঙ্ক যাদব ৪০ রানে ও আবেশ খান ৪২ রানে ২টি করে উইকেট পান।
মুম্বইয়ের ২১৫ রানের জবাব দিতে নেমে লখনউয়ের শুরুটাও ভাল হয়নি। তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার এইডেন মার্করাম (১১ বলে ৯)। এরপর লখনউকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। সপ্তম ওভারে উইল জ্যাকসের জোড়া ধাক্কা ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেয় লখনউকে। প্রথম বলে পুরানকে (১৫ বলে ২৭) ও তৃতীয় বলে ঋষভ পন্থকে (২ বলে ৪) তুলে নেন জ্যাকস। মিচেল মার্শ, আয়ুশ বাদোনিরা লখনউকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। মার্শ (২৪ বলে ৩৪) আউট হতেই আশা শেষ লখনউর।
১৬তম ওভারে লখনউয়ের ইনিংসে ধস নামান বুমরা। দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তুলে নেন ডেভিড মিলার (১৬ বলে ২৪), আব্দুল সামাদ (৪ বলে ২) ও আবেশ খানকে (০)। ২০ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় লখনউ। দুরন্ত বোলিং করে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন বুমরা। ২০ রানে ৩ উইকেট বোল্টের। ১৮ রানে ২ উইকেট নেন উইল জ্যাকস। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে উঠে এল মুম্বই। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে লখনউ।