প্রয়াত চুনী গোস্বামীর স্মরণে তাঁর জন্মদিন ১৫ জানুয়ারি ‘ক্রিকেট দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নিল মোহনবাগান। বুধবার এক জমকালো অনুষ্ঠানে ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মোহনবাগান ক্রিকেট দিবস’ উদ্বোধন করলেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রয়াত চুনী গোস্বামীর স্ত্রী বাসন্তী গোস্বামীও।
বুধাবারে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয় সৈয়দ কিরমানিকে। ক্লাবের শতবর্ষে ১৯১১ সালের শিল্ডজয়ীদের নিয়ে বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানে সৈয়দ কিরমানির হাতে সেই বিশেষ ডাকটিকিট তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও সাম্মানিক সদস্যপদ দেওয়া হয় ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যকে। ‘মোহনবাগান ক্রিকেট দিবস’ উপলক্ষ্যে ক্লাবের প্রাক্তন অধিনায়ক ও ক্রিকেটারদের ডাকা হয়েছিল। তাঁদের সংবর্ধিত করা হয়।
প্রাক্তন অধিনায়কদের মধ্যে হাজির ছিলেন দেব মুখার্জি, পলাশ নন্দী, সম্বরণ ব্যানার্জি, প্রণব নন্দী, প্রণব রায়, সৌরভ বসু, গৌতম সোম জুনিয়র, মলয় ব্যানার্জি, সফি আমেদরা। অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি রাজু মুখার্জি, অরুণলালরা। এছাড়াও ছিলেন না উৎপল চ্যাটার্জি, শুভময় দাস, মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অর্ণব নন্দীরা। প্রাক্তন অধিনায়কদের ছাড়াও মোহনবাগানে খেলা দেবু মিত্র, সুব্রত পোড়েল, বরুণ বর্মন, উদয় ভানু ব্যানার্জি অমিতাভ রায়, কল্যাণ চৌধুরি, সাগরময় সেনশর্মা, শরদিন্দু মুখার্জির মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করা হয়।
‘মোহনবাগান ক্রিকেট দিবস’–এর উদ্বোধন করতে পেরে দারুণ খুশি কিরমানি। তিনি বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেট ও মোহনবাগান ক্লাবের প্রতি চুনী গোস্বামীর যে অবদান রয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তাঁর স্মরণে মোহনবাগান ডে–র উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। চুনী গোস্বামী ছিলেন আমাদের ছোটবেলাকার হিরো। তাঁকে দেখে মুগ্ধ হতাম।’ অনুষ্ঠান শুরুর আগে চুনী গোস্বামীর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সৈয়দ কিরমানি ও বাসন্তী গোস্বামী।