দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে। একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। অপেক্ষায় ছিলেন কবে আবার দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে মহম্মদ সামির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে দলে ফেরানো হয়েছে এই জোরে বোলারকে। তবে দলে জায়গা হল না শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থের।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের জন্য শনিবার দল বেছে নিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। প্রত্যাশিতভাবেই দলে ফেরানো হল মহম্মদ সামিকে। তবে দলে শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থের সুযোগ না পাওয়াটা চমকই বলা যেতে পারে। ঋষভ পন্থকে অবশ্য একদিনের সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা ভেবে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একসময় তিন ধরনের ক্রিকেটে যিনি অপরিহার্য ছিলেন, সেই শুভমান গিলকে ব্যর্থতার জন্যই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝপথে শোনা যাচ্ছিল মহম্মদ সামিকে পাঠানো হতে পারে। কিন্তু তিনি পুরো ফিট না হওয়ায় তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়নি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটাতে চলেছেন সামি। যদি সেরা ছন্দে থাকেন, তাহলে একদিনের সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাঁকে দলে রাখা হতে পারে। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই যে সামিকে খেলানো হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে সামি আবার মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ২২ জানুয়ারি ইডেনে সিরিজের প্রথম ম্যাচই হবে তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ।
চোটের জন্য যশপ্রীত বুমরাকে যে দলে রাখা হবে না, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। জোরে বোলিং সামলানোর দায়িত্ব সামি ছাড়া অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা ও হার্দিক পান্ডিয়ার ওপর। উইকেটকিপারের দায়িত্ব পালন করবেন সঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেল। দলে নেওয়া হয়েছে চার স্পিনার। এরা হলেন অক্ষর প্যাটেল, রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তী ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে। সহঅধিনায়কেরর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অক্ষর প্যাটেলের হাতে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘোষিত টি ২০ দলে সুযোগ পেয়েছেন: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক) সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, নীতিশ কুমার রেড্ডি, অক্ষর প্যাটেল (সহঅধিনায়ক), হর্ষিত রানা, অর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, রবি বিষ্ণোই, ওয়াশিংটন সুন্দর, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার)।