আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যের ক্রিকেটার। অথচ প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থতা। খাতাই খুলতে পারলেন না লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। শুধু ব্যাটেই নয়, উইকেটের পেছনেও ব্যর্থতা। তাঁর ভুলেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয় হাতছাড়া লখনউ সুপার জায়ান্টসের। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে লখনউকে ১ উইকেটে হারিয়ে নাটকীয় জয় তুলে নিল দিল্লি।
শেষ ওভারে ৬ বলে ৬ রান দরকার ছিল দিল্লির। স্ট্রাইকিং প্রান্তে মোহিত শর্মা। অন্যপ্রান্তে আশুতোষ শর্মা। শাহবাজ আমেদের প্রথম বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি মোহিত। পেছনের পায়ে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। ফলো থ্রু–তে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মোহিত। ঋষভ পন্থ বল তালুবন্দী করতে পারেননি। তালুবন্দী করতে পারলে নিশ্চিত স্টাম্পড হতেন মোহিত। জয়ও এসে যেত লখনউর। পরের বলেই সিঙ্গলস নিয়ে আশুতোষকে স্ট্রাইক দেন মোহিত। ছক্কা হাঁকিয়ে দিল্লিকে জেতান আশুতোষ।
বিশাখাপত্তনমের ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লখনউকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অক্ষর। এইডেন মার্করামকে (১৩ বলে ১৫) তুলে নিয়ে লখনউকে প্রথম ধাক্কা দেন বিপরাজ নিগম। এদিনই আইপিএল অভিষেক হল এই লেগ স্পিনারের। অভিষেকেই মার্করামের উইকেট। এরপরই তাণ্ডব শুরু করেন মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। ৮.২ ওভারেই ১০০/১ রানে পৌঁছে যায় লখনউ।
দ্বাদশ ওভারে জুটি ভাঙেন মুকেশ কুমার। তুলে নেন মিচেল মার্শকে। ৩৬ বলে ৭২ রান করে আউট হন মার্শ। মারেন ৬টি করে চার ও ছয়। এরপর ক্রিজে নামেন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যের ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ। মাত্র ৬ বল ক্রিজে স্থায়ী ছিলেন ঋষভ। খাতা খুলতে পারেননি। কুলদীপ যাদবের বলে ডুপ্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পরের ওভারেই ফিরে যান নিকোলাস পুরান। ৩০ বলে তিনি করেন ৭৫। মারেন ৬টি ৪, ৭টি ছয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০৯/৮ রান তোলে লখনউ। লখনউকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে দেন ডেভিড মিলার (১৯ বলে অপরাজিত ২৭)। দুরন্ত বোলিং করে ২০ রানে ২ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ৪২ রানে ৩ উইকেট মিচেল স্টার্কের।
জয়ের জন্য ২১০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভারের মধ্যে জ্যাক ফ্রেজার–ম্যাকগার্ক (১), অভিষেক পোড়েল (০), সমীর রিজভিকে (৪) হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি। প্রথম ওভারেই ম্যাকগার্ক ও অভিষেক তুলে নেন আইপিএল নিলামে ব্রাত্য থাকা শার্দুল ঠাকুর। মহসিন খান চোটের জন্য ছিটকে না গেলে এবছর আইপিএলই খেলা হত না শার্দুলের। চাপ আরও বাড়িয়ে দেয় অক্ষর (১১ বলে ২২) ও ডুপ্লেসি (১৮ বলে ২৯), স্টাবসের (২২ বলে ৩৪) ব্যর্থতা।
১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় দিল্লি। এরপর দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান আশুতোষ শর্মা ও বিপরাজ নিগম। ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন বিপরাজ। মিচেল স্টার্ক (২), কুলদীপ (৫) আউট হওয়ার পর আবার চাপে পড়ে যায় দিল্লি। প্রায় হারের মুখে চলে গিয়েছিল। দুরন্ত ব্যাটিং করে প্রায় হারা ম্যাচ বার করেন আশুতোষ। ৩১ বলে ৬৬ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ১৯.৩ ওভারে ২১১/৯ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।