২০০৩ সালের ২২ মে লর্ডসে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু। সেই লর্ডসেই টেস্ট ক্রিকেটজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটালেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ড ক্রিকেটে শেষ হল অ্যান্ডারসন অধ্যায়। আবেগঘন বিদায়ে লর্ডস ছাড়লেন ইংল্যান্ডের এই জোরে বোলার। জীবনের প্রথম টেস্টে যেমন উইকেট পেয়েছিলেন, তেমনই জীবনের শেষ টেস্টেও উইকেট। তবে দুর্ভাগ্য, টেস্ট জীবনের শেষ বলে উইকেট থেকে বঞ্চিত হলেন। নিজের বলে গুডাকেশ মোতির ক্যাচ মিস করার আক্ষেপ দীর্ঘদিন কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে অ্যান্ডারসনকে।
২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জার্তিক ক্রিকেটে অভিষেক। পরের বছর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক। ২০১৫ সালে দেশের হয়ে শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। আর শেষ টি২০ ম্যাচ খেলেন তারও বছর ছয়েক আগে। লাল বলের ক্রিকেটে বাড়তি ফোকাস করার জন্যই দুই ঘরানার ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান। এবার টেস্ট জীবনেও ইতি টানলেন অ্যান্ডারসন। ১৮৮ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৭০৪টি। জীবনের শেষ টেস্টেও ৪ উইকেট।
ম্যাচ শেষে সতীর্থ থেকে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা, লর্ডসের হাজার হাজার দর্শক কুর্নিশ জানাতে ভোলেননি ইংল্যান্ড ক্রিকেটের কিংবদন্তিকে। আবেগে ভেসে যাচ্ছিলেন অ্যান্ডারসনও। তবে আক্ষেপও রয়ে গেছে। আর সেটা গুডাকেশ মোতির ক্যাচ ফেলা নিয়ে। অ্যান্ডারস বলছিলেন, ‘সপ্তাহটা দুর্দান্ত কাটালাম। সকলে যেভাবে আমাকে সম্মান দিয়েছে, দারুণ খুশি। গোটা ক্রিকেটজীবনে যা অর্জন করেছি, তাতে আমি খুশি।’ জীবনের ষেশ ম্যাচ হলেও নিজের আবেগ ধরে রেখেছিলেন অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, ‘আবেগ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। সকলে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিল, ব্যাপারটা আমার কাছে আরও আবেগের হয়ে উঠেছিল। আমি গর্বিত। চোটমুক্ত থেকে ২২ বছর ধরে ক্রিকেট খেলাটা সত্যিই আমার কাছে অবিশ্বাস্য।’
শেষদিনে অ্যান্ডারসন আবেগের কাছে ম্যাচের ফল ছিল গৌন। দ্বিতীয় দিনেই ইংল্যান্ডের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ইনিংস ও ১১৪ রানে জিতে অ্যান্ডারসনের বিদায়বেলা স্মরণীয় করে রাখলেন বেন স্টোকসরা। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ১২১। ৪৫ রানেঐ ৭ উইকেট নিয়েছিলেন গাস অ্যাটকিনসন। ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ড তোলে ৩৭১। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন অ্যাটকিনসন, ৩২ রানে ৩ উইকেট অ্যান্ডারসনের।
আরও পড়ুনঃ ডুরান্ড কাপে একই গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগান, প্রতিযোগিতার শুরুতেই মুখোমুখি দুই প্রধান