ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। আবার ১৬ মে প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ১ জুন ফাইনাল হতে পারে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। তবে ফাইনাল কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে বোর্ডের।
শনিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ভারত ও পাকিস্তান। এরপরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা নতুন করে আইপিএল শুরু করার ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেন। রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা। বৈঠকে পুনরায় আইপিএল শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ১৬ কিংবা ১৭ মে ঠিক হয়েছে। যে ভেন্যুগুলিতে বাকি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, সেই ভেন্যুগুলির ক্রু–দের তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবারের বৈঠকের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ–সভাপতি রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আইপিএল নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বোর্ড কর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন। বোর্ড সচিব ও আইপিএল চেয়ারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি এবং বাকিদের সঙ্গে কথা বলছেন। খুব শীঘ্রই আমরা সিদ্ধান্ত জানতে পারব। তবে প্রতিযোগিতা দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ বোর্ডের একটা সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, ‘সব দলকেই তাদের ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি ১৬ অথবা ১৭ মে লখনউতে পুনরায় শুরু হবে। চূড়ান্ত সময়সূচি সোমবার ঘোষণা করা হবে।’
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সম্ভবত চারটি ভেন্যুতে বাকি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। দিল্লি, ধরমশালা, মু্ম্বই আর কোনও ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই এই ভেন্যুগুলি থেকে যাবতীয় সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। হায়দরাবাদের প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং এলিমিনেটরের ভেন্যুতে কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে কলকাতা থেকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। কারণ, ১ জুন কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সিএবি কর্তারা এই দুটি ম্যাচ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ। ম্যাচ দুটি আয়োজনে মরিয়া।
ইতিমধ্যেই খসড়া সূচি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লখনউ সুপার জায়ান্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে শুরু হবে। ইতিমধ্যেই দুই দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচটা ৯ মে হওয়ার কথা ছিল। ১৩ মে লখনউ দলের ক্রিকেটাররা একত্রিত হবেন। ইতিমধ্যেই গুজরাট টাইটান্সের ক্রিকেটাররা অনুশীলন শুরু করেছেন। জস বাটলার ও জেরাল্ড কোয়েৎজি অবশ্য এখনও যোগ দেননি। মাঝপথে পরিত্যক্ত হওয়া পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে দুই দলকেই ১ পয়েন্ট করে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। পাঞ্জাবের বিদেশি ক্রিকেটাররা ভারতেই রয়ে গেছে। বেঙ্গালুরুর বিদেশি ক্রিকেটাররা অবশ্য দেশে ফিরে গেছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকজন বিদেশি তারকা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আইপিএলের বাকি ম্যাচে নাও খেলতে পারেন।