১৭ মে থেকে আবার শুরু হচ্ছে আইপিএল। ফাইনাল হবে ৩ জুন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর সোমবার রাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আইপিএল শুরুর কথা ঘোষণা করা হয়। বাকি প্রতিযোগিতা ৬টি ভেন্যুতে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সেই তালিকায় অবশ্য কলকাতার নাম নেই।
৮ মে জম্মু ও চণ্ডীগড়ের কাছে পাকিস্তান ভারতের আকাশসীমা আক্রমণ করলে ধরমশালা স্টেডিয়ামে ব্ল্যাকআউটের কারণে পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে ম্যাচ পরিত্যক্ত করে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পরের দিন সরকারিভাবে এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত ও পাকিস্তান তাদের সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর বোর্ড কর্তারা পুনরায় আইপিএল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিসিসিআই আনন্দের সাথে টাটা আইপিএল ২০২৫ পুনরায় শুরু করার ঘোষণা করছে। সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সাথে এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শের পর, বোর্ড আইপিএলের বাকি অংশটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাকি ১৭টি ম্যাম অনুষ্ঠিত হবে ৬টি কেন্দ্রে। সেই ৬টি ভেন্যু হল বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লখনউ, মুম্বই ও আমেদাবাদ। তালিকায় কলকাতার নাম নেই। বিবৃতিতে অবশ্য বলা হয়েছে, প্লেঅফ ও ফাইনালের ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
১৭ মে বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে স্থগিত হওয়া আইপিএল শুরু হবে। প্লেঅফের ভেন্যু ঠিক না হলেও ম্যাচের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সূচি অনুসারে, প্রথম কোয়ালিফায়ার ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ৩০ মে এলিমিনেটর। ১ জুন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার, ২ দিন পর অর্থাৎ ৩ জুন ফাইনাল। ৬টি ভেন্যুতে মোট ১৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত সময়সূচিতে দুটি ডাবল হেডার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দুটি রবিবার খেলা হবে। ধরমশালায় পরিত্যক্ত হওয়া পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ আবার অনুষ্ঠিত হবে।
আইপিএল আবার শুরু হলেও সব বিদেশি ক্রিকেটারকে পাওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। অধিকাংশ বিদেশি ক্রিকেটারি তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে ১৭ মে’র আগে যতটা সম্ভব তাঁদের পুনরায় একত্রিত করতে হবে। তবে কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে সমস্যা আছে। কাঁধের চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার জশ হ্যাজেলউড প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত। ১১ জুন থেকে লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বিবেচনা করে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের নিয়মিত ক্রিকেটাররা আবার ফিরবেন কিনা সন্দেহ।