১৩ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ এসেছে ভারতের ঘরে। টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পরই ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজা। টি২০ ফরম্যাটে দেশকে এখন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের হাতে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ দিয়ে তরুণ প্রজন্মের পরীক্ষা শুরু।
শনিবার থেকে হারারেতে শুরু হচ্ছে ভারত–জিম্বাবোয়ের ৫ ম্যাচের টি২০ সিরিজ শুরু। বিশ্বকাপ দলে থাকা অধিকাংশ ক্রিকেটারকে এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র যশস্বী জয়সওয়াল, শিবম দুবে ও সঞ্জু স্যামসন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে দলে রয়েছেন। শিবম বিশ্বকাপের সব ম্যাচে খেললেও যশস্বী ও সঞ্জু মাঠে নামার সুযোগ পাননি। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজেও প্রথম দুটি ম্যাচে এই তিন ক্রিকেটার খেলতে পারবেন না। কারণ, বিশ্বকাপ জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। দেশ থেকেই তাঁরা আবার জিম্বাবোয়ে যাবেন।
যশস্বী, শিবম, সঞ্জুদের পাওয়া না গেলেও কোনও সমস্যা হবে না ভারতের। শুভমান গিল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, সাই সুদর্শন, রিঙ্কু সিং, রিয়ান পরাগের মতো ব্যাটাররা রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণোইয়ের মতো স্পিনাররা। জোরে বোলিং সামলানোর দায়িত্ব আবেশ খান, তু্যার দেশপান্ডে, খলিল আমেদদের ওপর। ভারতীয় তরুণ প্রজন্ম কতটা তৈরি জিম্বাবোয়ে সিরিজেই বোঝা যাবে।
এতদিন টি২০ ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে দেশের বড় ভরসা ছিল রোহিত–কোহলি জুটি। দুজনই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন শুভমান গিল। তাঁর সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ওপেন করবেন অভিষেক শর্মা। আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন অভিষেক। তিন নম্বরে সম্ভবত ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। অভিষেক হতে চলেছে রিয়ান পরাগেরও। সম্ভাবনা রয়েছে সাই সুদর্শনেরও। উইকেটের পেছনে দেখা যেতে পারে ধ্রুব জুরেল ও জিতেশ শর্মার মধ্যে একজনকে। তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে এটাই সেরা সুযোগ নিজেদের জায়গা পাকা করার।