১২ বলে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৯ রান। হাতে ৭ উইকেট। টি২০ কেন, ক্রিকেটের যে কোনও ধরণের ফরম্যাটে একেবারে সহজ লক্ষ্য। কিন্তু ক্রিকেট যে মহান অনিশ্চয়তার খেলা আবার প্রমাণ হয়ে গেল ভারত–শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ টি২০ ম্যাচে। কার্যত হারা ম্যাচ নাটকীয়ভাবে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়ে জয় ছিনেয়ে নিল ভারত। একইসঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে সূচনা হল গম্ভীর–সূর্য জুটির।
নিশ্চিত হার বুঝেই ১৯তম ওভারে অনিয়মিত বোলার রিঙ্কু সিংয়ের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জীবনে প্রথমবার বল হাতে তুলে নিয়েই চমক রিঙ্কুর। ওভারের দ্বিতীয় বলেই শ্রীলঙ্কাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কুশল পেরেরাকে (৩৪ বলে ৪৬) তুলে নেন। ওভারের শেষ বলে ফেরান রমেশ মেন্ডিসকে (৩)। ৩ রান খরচ করে তুলে নেন ২ উইকেট।
শেষ ওভারে নাটক আরও বাকি ছিল। শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য দরকার ৬ রান। এবার নিজেই বল করতে এলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে শিকার কামিন্দু মেন্ডিস (১)। তৃতীয় বলে মহেশ থিকসানাকে (০) তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে। হ্যাটট্ট্রিক না হলেও চতুর্থ, পঞ্চম ও শেষ বলে বলে যথাক্রমে ১, ৩, ২ রান দিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যান সূর্য।
সুপার ওভারে আবার চমক ওয়াশিংটন সুন্দরের। প্রথম বল ওয়াইড। পরের বলে ১ রান নেন কুশল মেন্ডিস। পরের ২ বলে আউট কুশল পেরেরা (০) ও পাথুম নিসাঙ্কা (০)। শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ মাত্র ২/২। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জেতান সূর্যকুমার। একইসঙ্গে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজে জিতে নেয় ভারত। এই ম্যাচে ভারতের জেতার কথাই নয়। জয়ের জন্য ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ভালোই এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ৭ উইকেট হারায় ২২ রানে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার পাথুম নিসাঙ্কা (২৭ বলে ২৬), কুশল মেন্ডিস (৪১ বলে ৪৩), কুশল পেরেরার (৩৪ বলে ৪৬) ছাড়া বাকিরা রান পায়নি। ২০ ওভারে ১৩৭/৮ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ভারত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তোলে। শুভমান গিল ৩৯, রিয়ান পরাগ ২৬, ওয়াশিংটন সুন্দর ২৫, শিবম দুবে ১৩, যশস্বী জয়সওয়াল ১০, রিঙ্কু সিং ১ রান করেন। এদিন আবার খাতা খুলতে ব্যর্থ সঞ্জু স্যামসন। খাতা খুলতে পারেননি মহম্মদ সিরাজ। রবি বিষ্ণোই ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার মহেশ থিকসানা ৩টি, ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ২টি এবং চামিন্দু বিক্রমাসিংঘে, আসিথা ফার্নান্ডো ও রমেশ মেন্ডিস ১টি করে উইকেট পান।