শীর্ষস্থান ধরে রাখার লক্ষ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল গুজরাট টাইটান্স। লক্ষ্যে সফল। নাইট রাইডার্সকে ৩৯ রানে হারিয়ে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে গেল গুজরাট। একই সঙ্গে প্লে–অফের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেলে শুভমান গিলরা। পুরনো দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত ব্যাটিং করে ম্যাচের নায়ক অধিনায়ক শুভমান। ঘরের মাঠে এদিন গুজরাটের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারলেন না অজিঙ্কা রাহানেরা।
আগের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের ২০৩ রান তাড়া করে জিতে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে এসেছিল গুজরাট টাইটান্স। বাটলার থেকে শুরু করে সব ব্যাটারও ফর্মে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও টস জিতে গুজরাটকে ব্যাট করতে পাঠান অজিঙ্কা রাহানে। দারুণ শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১১৪। বৈভব আরোরা, হর্ষিত রানা থেকে শুরু কতরে মইন আলি, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইন, কেউই বেগ দিতে পারেননি গুজরাটের দুই ওপেনারকে। ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল। তবে দুজনই ক্রিকেটীয় শট খেলে রান তুলছিলেন।
জুটি ভাঙতে আন্দ্রে রাসেলের শরণাপন্ন হন নাইট অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। ১৩তম ওভারে বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন রাসেল। তুলে নেন সাই সুদর্শনকে। ৩৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন সুদর্শন। এরপর গুজরাটের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান বাটলার ও শুভমান। শুভমানের দুর্ভাগ্য, দুরন্ত ব্যাটিং করেও সেঞ্চুরি পেলেন না। ৫৫ বলে ৯০ রান করে তিনি বৈভব আরোরার বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। মারেন ১০টি চার ও ৩টি ছয়। রাহুল তেওয়াটিয়া কোনও রান না করে হর্ষিত রানার বলে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান তোলে গুজরাট। ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ৫ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহরুখ খান। নাইট রাইডার্সের হয়ে বৈভব আরোরা, হর্ষিত রানা ও আন্দ্রে রাসেল ১টি করে উইকেট নেন।
একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় গুজরাটের বিরুদ্ধে কুইন্টন ডিককের জায়গায় রহমানুল্লাহ গুরবাজকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনিও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। প্রথম ওভারেই মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন গুরবাজ (৪ বলে ১)। সুনীল নারাইনও (১৩ বলে ১৭) দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তিনি রশিদ খানের শিকার। ৫.৩ ওভারে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় নাইট রাইডার্স। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ও বেঙ্কটেশ আয়ার। দ্বাদশ ওভারে বেঙ্কটেশকে (১৯ বলে ১৪) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন সাই কিশোর।
পরের ওভারে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ফিরতেই নাইটদের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়ে যায়। ৩৬ বলে ৫০ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে স্টাম্পড হন রাহানে। আন্দ্রে রাসেল (১৫ বলে ২১), রিঙ্কু সিংদের (১৪ বলে ১৭) নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন নাইট সমর্থকরা। রাসেল এখন পুরনো দিনের ছায়া। রিঙ্কু সিংয়েরও সেই একই অবস্থা। মইন আলি (০), রমনদীপ সিংরাও (১) রান পাননি। ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে শেষদিকে অঙ্গকৃশ রঘুবংশী যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, তখন ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে নাইটরা। ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অঙ্গকৃষ। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে নাইট রাইডার্স। গুজরাটের হয়ে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও রশিদ খান দুজনই ২৫ রানে ২টি করে উইকেট পান।