ক্রিকেটার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন এক মহিলা। ভারতের এই জোরে বোলারের বিরুদ্ধে ইন্দিরাপুরম থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষী সাব্যাস্ত হলে ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ক্রিকেটারের।
গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগ, যশ দয়ালের সঙ্গে তাঁর ৫ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। এই সময় যশ দয়াল তাঁকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এছাড়া মানসিক এবং আর্থিকভাবে নিপীড়নও করেন। মহিলা আরও দাবি করেছেন, যশ দয়াল তাঁকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরিবারের সামনে এমন আচরণ করেছিলেন, সকলের মনে হয়েছিল তাঁরা বিবাহিত দম্পতি। যা তাঁর বিশ্বাসকে আরও গভীর করে তুলেছিল। এরপর যখন ওই মহিলা বিয়ের জন্য চাপ দেন, তখন যশ দয়াল তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু করেন।
মহিলা আরও দাবি করেছেন যে, যশ দয়াল তাঁদের সম্পর্কের সময় তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। অতীতে অন্যান্য অনেক মহিলাদের সঙ্গেও যশ দয়াল একই রকম আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগকারী মহিলা তাঁর দাবির সমর্থনে চ্যাট রেকর্ড, মোবাইলের স্ক্রিনশট, ভিডিও কল রেকর্ডিং এবং ছবি দিয়েছেন।
যশ দয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য ওই মহিলা প্রথমে ১৪ জুন মহিলা হেল্পলাইন নম্বর ১৮১–এ ফোন করেন। কিন্তু সেখানে কোনও উত্তর না পেয়ে ২১ জুন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ পোর্টাল, আইজিআরএস–এর মাধ্যমে ওই মহিলা অভিযোগ জানান। প্রাথমিক তদন্তের পর ইন্দিরাপুরম থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যৌন হয়রানি ও শোষণের গুরুতর অভিযোগ নিয়ে আসার পর যশ দয়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা–র (বিএনএস) ধারা ৬৯ এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগের ব্যাপারে যশ দয়াল এবং তাঁর পরিবার কোনও মন্তব্য করেনি।
বাঁহাতি এই জোরে বোলার ২০২৫ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেন। দলকে প্রথমবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। এবছর আইপিএলে ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন যশ দয়াল। গত বছর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে ভারতীয় দলে ডাক পেলেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি।