চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি একেবারেই ভাল হল ইংল্যান্ডের কাছে। ভারতের কাছে টি২০ সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর একদিনের সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ জস বাটলারের দল। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ দখল করেছিল ভারত। আমেদাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচেও লজ্জার মুখে পড়তে হল বাটলারদের। ইংল্যান্ডের পরাজয় ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
টস জিতে এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক রোহিত শর্মা (১) দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন। এরপর শুভমান গিলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিরাট কোহলি। জুটিতে ওঠে ১১৬ রান। দীর্ঘদিন পর চেনা ছন্দে দেখা গেল কোহলিকে। তবে স্পিনের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা এদিনও প্রকট হয়ে উঠল। আগের ম্যাচের মতো এদিনও আদিল রশিদের শিকার তিনি। ৫৫ বলে ৫২ রান করে সেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি।
কোহলি ফিরে গেলেও রানের গতি কমতে দেননি শুভমান গিল ও শ্রেয়স আয়ার। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দুজনে ১০৪ রান তোলেন। ১০২ বলে ১১২ রান করে আউট হন শুভমান। মারেন ১৪টি ৪ ও ৩টি ৬। এদিন বেশ কয়েকটা রেকর্ড গড়েন শুভমান। ভারতের প্রথম ব্যাটার হিসেবে নিজের ৫০তম একদিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। পাশাপাশি পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে একই ভেন্যুতে তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরির নজির গড়লেন। আরও একটি রেকর্ড করেছেন। একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ২৫০০ রান করার রেকর্ড গড়েছেন। ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসিম আমলার রেকর্ড।
শুভমানের পাশাপাশি উজ্জ্বল ছিলেন শ্রেয়স আয়ারও। চলতি সিরিজে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৩ বলে। শেষ পর্যন্ত ৮টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৬৪ বলে ৭৮ রান করে আউট হন। হার্দিক পাণ্ডিয়া ৯ বলে ১৭ রান করেন। শ্রেয়সের মতো তিনিও রশিদের শিকার। অক্ষর প্যাটেল ১২ বলে ১৩ রান করে জো রুটের বলে আউট হন। লোকেশ রাহুল ২৯ বলে করেন ৪০ রান করেন। হর্ষিত রানা করেন ১৩, ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪। ৫০ ওভারে ৩৫৬ রান তোলে ভারত। ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার আদিল রশিদ। ১০ ওভারে ৬৪ রানে ৪ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে ৬.১ ওভারে ওঠে ৬০। বেন ডাকেট ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। ফিল সল্ট ২১ বলে করেন ২৩। মিডল অর্ডারে জো রুট (২৯ বলে ২৪), হ্যারি ব্রুক (২৬ বলে ১৯), অধিনায়ক জস বাটলার (৯ বলে ৬), লিয়াম লিভিংস্টোনরা (২৩ বলে ৯) দলকে ভরসা দিতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ড। গাস অ্যাটকিনসন ১৯ বলে ৩৮ ও টম ব্যান্টন ৪১ বলে ৩৮ রান করেন। অর্শদীপ সিং ৫ ওভারে ৩৩, হর্ষিত রানা ৫ ওভারে ৩১, অক্ষর প্যাটেল ২২ ও হার্দিক পাণ্ডিয়া ৩৮ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ ও সিরিজের সেরা হয়েছেন শুভমান গিল।