আলাদা আলাদা লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছিল দুই দল। রাজস্থান রয়্যালসের সামনে ছিল প্লেঅফের ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখা। অন্যদিকে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের লক্ষ্য ছিল রাজস্থানকে হারিয়ে প্লেঅফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া। রাজস্থানকে তাদের ঘরের মাঠে ১০০ রানে হারিয়ে প্লেঅফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টানা ৬ ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আর চেন্নাই সুপার কিংসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সরকারিভাবে প্লেঅফের আশা শেষ হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের।
ঘরের মাঠে টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান রয়্যালস। শুরতে সতর্ক ছিলেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও রায়ান রিকেলটন। পাওয়ার প্লে–র প্রথম ৩ ওভারে ওঠে মাত্র ১৬। এরপরই ঝড় তোলেন রোহিত ও রিকেলটন। পরের ৩ ওভারে ওঠে ৪২। এদিন নবম ওভারে কুমার কার্তিকেয়ার দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি গায়ে ৬ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছে যান রোহিত। এদিন তাঁর হাফ সেঞ্চুরি আসে ৩১ বলে। রোহিতের আগেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রায়ান রিকেলটন। ২৯ বলে তিনি ৫০ রানে পৌঁছে যান।
১১৬ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি ভাঙে মু্ম্বইয়ের। দ্বাদশ ওভারে মহেশ থিকসানার বলে বোল্ড হন রিকেলটন। ৩৮ বলে ৬১ রান করে তিনি আউট হন। পরের ওভারেই রিয়ান পরাগের বলে যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন রোহিত। ৩৬ বলে তিনি করেন ৫৩। প্রথম ৫ ম্যাচে রোহিত রান করেছিলেন যথাক্রমে ০, ৮, ১৩, ১৭, ১৮। পরের ৫ ম্যাচে তাঁর রান ২৬, অপরাজিত ৭০, ৭০, ১২ ও ৫৩। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ঝড় তোলেন সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া। এই দুজনের দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২১৭ রান তোলে মুম্বই।
জয়ের জন্য ২১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। বৈভব রঘুবংশীর ব্যাটে ঝড় দেখার আশায় এদিন গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। দর্শকদের হতাশই হতে হল। দীপক চাহারের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই উইল জ্যাকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বৈভব (২ বলে ০)। বৈভব আউট হতেই দর্শকদের মাথায় হাত। পরের ওভারে ট্রেন্ট বোল্টকে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে চতুর্থ বলে আউট যশস্বী জয়সওয়াল (৬ বলে ১৩)। ১ ওভার পরেই নীতীশ রানাকেও (১১ বলে ৯) তুলে নেন বোল্ট। চতুর্থ ওভারে পরপর ২ বলে রিয়ান পরাগ (৮ বলে ১৬) ও সিমরন হেটমায়েরকে (০) ফিরিয়ে রাজস্থানকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দেন যশপ্রীত বুমরা।
পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারের মধ্যে ৬২ রানে ৫ উইকেট হারায় রাজস্থান। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না। অষ্টম ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম বলেই শিবম দুবেকে (৯ বলে ১৫) তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ১৬.১ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। সর্বোচ্চ রান করেন জোফ্রা আর্চার (২৭ বলে ৩০)। ট্রেন্ট বোল্ট ২৮ রানে ও কর্ণ শর্মা ২৩ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। ১৫ রানে ২ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এল মুম্বই। সমসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট রাজস্থানের। বাকি ম্যাচ জিতলেও প্লেঅফে পৌঁছতে পারবে না রাজস্থান।