টেস্টের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজেও দাপট ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম একদিনের ম্যাচ জিতেছিল ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিজির জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের জয়ের নায়ক জাইডেন সিলস। দুরন্ত বোলিং করে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পায়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লে–র ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। চতুর্থ,অষ্টম ও দশম ওভারে আউট হন সৌম্য সরকার (৫ বলে ২), লিটন দাস (১৯ বলে ৪) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (৫ বলে ১)। শুরুতে এই ৩ ব্যাটারকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসে ভাঙন ধরান জাইডেন সিলস। অন্যপ্রান্তে লড়াই করেছিলেন তানজিদ হাসান। একাদশতম ওভারে তিনিও মিছিলে যোগ দেন। তাঁকে তুলে নেন জাস্টিন গ্রেভস। ৩৩ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তানজিদ।
তানজিদ যখন আউট হন, বাংলাদেশর রান ৬৪/৪। এরপর আফিফ হোসেন (২৯ বলে ২৪) ও মাহমুদুল্লা দলকে কিছুটা টানেন। জুটি ভাঙতেই আবার ধস বাংলাদেশ ইনিংসে। আফিফ, জাকের আলি (৯ বলে ৩), রিশাদ হোসেন (৮ বলে ০) আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১১৫। সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ ও তানজিম সাকিবের ৯২ রানের জুটি বাংলাদেশকে ২০০ রান পার করে দেয়। ৬২ বলে ৪৫ রান করে আউট হন তানজিম। অন্যদিকে ৯২ বলে ৬২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায়। দুরন্ত বোলিং করে ২২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন জায়ডেন সিলস।
জয় পেতে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একদমই বেগ পেতে হয়নি। দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও এভিন লুইস দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ওপেনিং জুটিতে ২০ ওভারে ওঠে ১০৯। এভিন লুইসকে (৬২ বলে ৪৯) তুলে নিএ জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কিং ও কেসি কার্টি। ২৯ ওভারে নাহিদ রানার প্রথম বলে আউট হন ব্রেন্ডন কিং। ৭৬ বলে তিনি করেন ৮২। এর পরপরই ফেরেন কেসি কার্টি। ৪৭ বলে তিনি করেন ৪৫। দলকে জয় এনে দেন অধিনায়ক সাই হোপ (২১ বলে অপরাজিত ১৭) ও শেরফানে রাদারফোর্ড (১৫ বলে অপরাজিত ২৪)। ৩৬.৫ ওভারে ২৩০/৩ তুলে সিরিজ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল ক্যারিবিয়ানরা। সিরিজের শেষ ম্যাচ ১২ ডিসেম্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ (মাহমুদুল্লাহ ৬২, তানজিদ ৪৬, তানজিম ৪৫, সিলস ৪/২২, মোতি ২/৩৬)।ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬.৫ ওভারে ২৩০/৩ (কিং ৮২, লুইস ৪৯, কার্টি ৪৫, রাদারফোর্ড ২৪*, আফিফ ১/১২, রানা ১/৩৮)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচের সেরা জাইডেন সিলস।