আগের ম্যাচেই রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আবেশ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়েই বাজিমাত। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যর্থ লখনউয়ের বোলাররা। আবেশ খানদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে লখনউকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আবার জয়ের সরণিতে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। পৌঁছে গেল ১২ পয়েন্টে। দিল্লির হয়ে ব্যাট ও বল হাতে দাপট দেখালেন বাংলার দুই ক্রিকেটার অভিষেক পোড়েল ও মুকেশ কুমার।
টস জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। দারুণ শুরু করেছিলেন লখনউর দুই ওপেনার এইডেন মার্করাম ও মিচেল মার্শ। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ওঠে ৫১। মার্করাম ও মার্শ যেভাবে খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল বড় ইনিংস গড়বে লখনউ। দশম ওভারে দিল্লিকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দুষ্মন্ত চামিরার। ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে ওঠা এইডেন মার্করামকে (৩৩ বলে ৫২) তুলে নেন। এক ওভার পরেই নিকোলাস পুরানকে (৫ বলে ৯) ফেরান মিচেল স্টার্ক।
পরপর দলের দুই সেরা ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। রান তোলার গতি অনেকটাই কমে যায়। চাপ আরও বেড়ে যায় ১৪তম ওভারে মুকেশ কুমারের জোড়া ধাক্কায়। রানের গতি বাড়ানোর জন্য ব্যাটিং অর্ডারে ঋষভ পন্থের আগে আব্দুল সামাদকে পাঠানো হয়েচিল। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আব্দুল সামাদকে (৮ বলে ২) তুলে নেন মুকেশ। ওভারের শেষ বলে ফেরান মিচেল মার্শকে (৩৬ বলে ৪৫)।
মার্শ আউট হওয়ার পরেই তাঁর জায়গায় ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে আয়ুশ বাদোনিকে মাঠে নামায় লখনউ। তাঁর সৌজন্যেই দেড়শ রানের গণ্ডি পার করতে সক্ষম হয়। মুকেশ কুমারের শেষ ওভারে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২০ বলে ৩৬ রান করে আউট হন বাদোনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ১৫৯ রান তোলে লখনউ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ঋষভ পন্থ (২ বলে ০)। ১৫ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। দুরন্ত বোলিং করে ৩৩ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন মুকেশ কুমার।
ব্যাট করতে নেমে দিল্লির শুরুটাও খারাপ হয়নি। ওপেনিং জুটিতে ৩.৩ ওভারে ওঠে ৩৬। এরপরই করুণ নায়ারকে (৯ বলে ১৫) তুলে নিয়ে দিল্লিকে প্রথম ধাক্কা দেন এইডেন মার্করাম। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অভিষেক পোড়েল ও লোকেশ রাহুল। দ্বাদশ ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেককে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন সেই মার্করামই। ৩৬ বলে ৫১ রান করে আউট হন অভিষেক। এদিনও উইকেটে জমে গিয়ে বড় রান পেলেন না অভিষেক।
অভিষেক ফিরে যাওয়ার পর দিল্লিকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল ও অক্ষর প্যাটেল। মাত্র ১৭.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি। ৪২ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল। চলতি আইপিএলে এটা তাঁর তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এদিন ৫১ রান করার সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে আইপিএলে দ্রুততম ৫ হাজার রানের রেকর্ড গড়লেন। মাত্র ১৩০ ইনিংসেই তিনি ৫ হাজার রানে পৌঁছে গেলেন। আগের রেকর্ড ছিল ওয়ার্নারের। তিনি ১৩৫ ইনিংসে ৫ হাজার রান করেছিলেন। রাহুলের পাশাপাশি ২০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেলও। লখনউয়ের হয়ে এইডেন মার্করাম ৩০ রানে ২ উইকেট নেন।