এবছর বাংলার হয়ে রনজি ট্রফির প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলবেন মহম্মদ সামি। জাতীয় দলের আর এক জোরে বোলার আকাশদীপকেও দেখা যাবে প্রথম ম্যাচ থেকে। এই দুই তারকা জোরে বোলারকে রেখেই বুধবার ঘোষিত হল বাংলা দল। তবে বাংলা দলে সবথেকে বড় চমক অনুষ্টুপ মজুমদারকে সরিয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরণকে আবার নেতৃত্বে ফেরানো। সহ–অধিনায়ক করা হয়েছে অভিষেক পোড়েলকে।
বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেও চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তাঁকে সরিয়ে মনোজ তেওয়ারিকে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনিও ব্যর্থ হয়েছিলেন। এরপর দায়িত্ব দেওয়া হয় অনুষ্টুপ মজুমদারকে। তিনিও বাংলাকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। এবছর অনুষ্টুপকে সরিয়ে আবার অধিনায়ক করা হল অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। আসলে ভারতীয় ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অভিমন্যুর হাতে আর্ম ব্যান্ড তুলে দিয়ে জাতীয় নির্বাচকদের অন্য বার্তা দিতে চাইলেন বাংলার নির্বাচকরা।
এবছর রনজি ট্রফির জন্য বাংলার যে ১৭ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দল সুযোগ পেয়েছেন: অভিমন্যু ইশ্বরণ (অধিনায়ক), অভিষেক পোড়েল (সহ–অধিনায়ক/উইকেটকিপার), সুদীপ ঘরামি, অনুষ্টুপ মজুমদার, সুদীপ চ্যাটার্জি, সুমন্ত গুপ্ত, সৌরভ সিং, বিশাল ভাটি, মহম্মদ সামি, আকাশদীপ, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, শাকির হাবিব গান্ধী (উইকেটকিপার), ইশান পোড়েল, কাজী জুনায়েদ সইফি, রাহুল প্রসাদ, সুমিত মোহান্ত, বিকাশ সিং।
মহম্মদ সামি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। সামনে রনজি ট্রফি ছাড়া আর কোনও প্রতিযোগিতা নেই। জাতীয় দলে আবার জায়গা ফিরে পেতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফরমেন্স করতে হবে সামিকে। তাই রনজি ট্রফি খেলতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছেন। আগের পরিস্থিতি হলে হয়তো বাংলার হয়ে মাঠে নামতেন না। আকাশদীপও জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় বাংলার হয়ে রনজিতে মাঠে নামছেন। এই দুই জোরে বোলারকে পাওয়ায় এবছর দল আরও শক্তিশালী হবে।
সামি, অনুষ্টুপ, অভিমন্যু, সুদীপ চ্যাটার্জিদের পাশাপাশি রাহুল প্রসাদ, বিকাশ সিং, সৌরভ সিং, বিশাল ভাটির মতো তরুণ ক্রিকেটারদেরও সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে মুকেশ কুমার, শাহবাজ আমেদের মতো দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে প্রথম তিনটি ম্যাচে পাচ্ছে না বাংলা। দুই ক্রিকেটারই এখনও চোট সারিয়ে উঠতে পারেননি। এবছর ১৫ অক্টোবর ইডেনে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রনজি অভিযান শুরু করবে বাংলা। বাংলা পরের ম্যাচও ইডেনে। ২৫ অক্টোবর থেকে গুজরাটের বিরুদ্ধে।